চীনকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললো ফিলিপাইন
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে চীনের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে ফিলিপাইন। দেশটি বলেছে যে, সপ্তাহান্তে চীন এবং ফিলিপাইনের দুটি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের পরে তারা চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
দুই জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো রবিবার (২২ অক্টোবর) ম্যানিলার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) মধ্যে অবস্থিত সেকেন্ড থমাস শোলের কাছে ঘটেছিল বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ওই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে বেইজিং এবং ম্যানিলা।
ফিলিপাইনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জোনাথন মালায়া সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ওই ঘটনায় ফিলিপাইনের একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও বোর্ডে থাকা কেউ আহত হয়নি।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড কমোডর জে টেরিয়েলা সাংবাদিকদের বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আঁচড়ের চেয়ে বেশি। তবে জাহাজটি বন্দরে ফিরে আসার পরে এর ক্ষয়-ক্ষতি নিবিড়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে জাহাজ দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে বেইজিং রবিবার বলেছে, এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের দোষ ছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, জাহাজগুলো লেগুনের দিকে ভ্রমণ করছিল এবং চীনা জাহাজগুলো চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব, সামুদ্রিক অধিকার এবং স্বার্থ সমুন্নত রাখতে পেশাদার এবং সংযত পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রনালয়টি আরও বলেছে, তারা সমুদ্রের অধিকার রক্ষায় ওই ধরনের পদক্ষেপ চালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ম্যানিলা বলেছে, চীনা জাহাজটি বিপজ্জনক ব্লকিং কৌশলে নিযুক্ত ছিল। ফিলিপাইনের একটি কোস্টগার্ড জাহাজকে চীনের সামুদ্রিক মিলিশিয়ার একটি জাহাজ অনৈতিকভাবে ধাক্কা দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে একটি আন্তর্জাতিক আদালত দ্বারা রায় দেওয়ার পরেও বেইজিং তার নয়-ড্যাশ লাইনের অধীনে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
ফিলিপাইন পাশাপাশি ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামও দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে।
সমুদ্রের আইন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনের অধীনে একটি দেশের ইইজেড তার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।