জাপানে পোস্ট অফিস কর্মীদের জিম্মি করলো বন্দুকধারী
জাপানে এক সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মঙ্গলবার (৩১অক্টোবর) একটি পোস্ট অফিসের ভিতরে অজানা সংখ্যক কর্মীকে জিম্মি করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
নগর কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘ওয়ারাবি শহরের চুও ৫-চোম এলাকায় একটি পোস্ট অফিসের ভেতরে ঢুকে সেখানকার কর্মীদের জিম্মি করেছে এক ব্যক্তি। অপরাধীর কাছে বন্দুক বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের নাগরিকদের পুলিশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে এবং পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
জাপানের দৈনিক ইয়োমিউরি জানিয়েছে, পোস্ট অফিসের ১০ জন কর্মী ভবনের ভেতরে থাকতে পারে।
ইয়োমিউরি জানিয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে জিম্মিকারী তার সঙ্গে কেরোসিন বহন করছেন।
জাপানের পিভি চ্যানেল টিবিএস জানিয়েছে, ‘পুলিশ ওই পোস্ট অফিসের কাছাকাছি এলাকার ৩০০ বাসিন্দাকে সরে যেতে বলেছে।’
এদিকে, পোস্ট অফিসের চারপাশে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
টোকিওর উপকণ্ঠে কাছাকাছি শহর টোডায় একটি শুটিংয়ের ঘটনা তদন্ত করার সময় ঘটনাটি ঘটলো। ওই ঘটনায় দুইজন সামান্য আহত হলেও তারা কীভাবে আহত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
টেলিভিশনের ছবিগুলোতে পোস্ট অফিসের ভেতরে একটি বেসবল ক্যাপ এবং মোটা কোটের নীচে একটি সাদা শার্ট পরা লোককে দেখতে পাওয়া, যা তার গলায় একটি দড়িতে বন্দুক সংযুক্ত বলে মনে হচ্ছে।
বন্দুকের মালিকানার উপর কঠোর বিধানের কারণে জাপানে সহিংস অপরাধ এক প্রকার বিরল ঘটনাই বলা যায়। জাপানে বিশ্বের সবচেয়ে কম হত্যার হার রয়েছে।
তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্দুক হামলাসহ নানা সহিংস অপরাধগুলোর কারণে দেশটি খবরের শিরোনাম হচ্ছে।
গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর আগে গত এপ্রিলে ওয়াকায়ামা শহরে প্রচারণা চালানোর সময় প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার দিকে বিস্ফোরক নিক্ষেপের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পরের মাসে একজন ব্যক্তি বন্দুক এবং ছুরি হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা, একজন বয়স্ক মহিলাসহ চারজনকে হত্যা করে।