‘ভূমিকম্পে আমাদের সব শেষ, খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘর। এতে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বা অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হচ্ছে।

গত শুক্রবার রাতে নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৫৭ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হন। নেপালের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। আর মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় এখন গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের জন্য জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে উদ্ধারকারী দলগুলো বিবিসিকে বলেছে, গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তাঁবু নেই।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ও বোন হারানো এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এখন এক বিপন্ন অবস্থায় বেঁচে আছি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কোনো খাবার নেই, আশ্রয় নেই। আমার বোন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।

ভূমিকম্পে সাত বছর বয়সী সন্তানকে হারিয়েছেন বালজিত মাহার। তিনি পার্বত্য জেলা জাজারকোটের চিউরি গ্রামের বাসিন্দা। বালজিত মাহার বিবিসিকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় ঘুম ভেঙে আমরা পরিবারের অপর ছয় সদস্য ঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পারলেও তাকে বাঁচাতে পারিনি।
ভূমিকম্পে বালজিতের মাটি ও পাথরে নির্মিত বাড়ির সামনের অংশ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানকার ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে তিনি তাঁর সন্তানের মরদেহ বের করে আনেন।

ছবি: সংগৃহীত 

বালজিত আরও বলেন, আমার সব মালামাল আর কাপড়চোপড় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। আমার আর কিছুই থাকল না।

ভূমিকম্পে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আরেকজন বালজিত বিকে। রুকুম এলাকার এ বাসিন্দা গৃহহীন মানুষদের আশ্রয়ের জন্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

বালজিত বিকে বলেন, কোনো খাবার নেই, থাকার জন্য নেই কোনো আশ্রয়। লোকজন খোলা আকাশের নিচে থাকছে। ঠান্ডার মধ্যে সেখানে থাকতে হচ্ছে। সব বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পে জাজারকোটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় নিহত মানুষদের গণসৎকারের প্রস্তুতি চলছে।

একদিকে ভূমিকম্পে প্রিয়জন হারানোর শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা, অন্যদিকে তাঁরা আফটার শকের (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) আতঙ্কে আছেন।
জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুমের বাসিন্দাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর ২৫০ টির বেশি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। নেপালের জাতীয় ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এসব আফটার শকের মধ্যে ছয়টির মাত্রা চারের ওপরে ছিল।

নেপাল সরকার বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলো থেকে সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

   

ইন্দিরা গান্ধীকে ‘মাদার অব ইন্ডিয়া’ বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘মাদার অব ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারতের মা’ বলে অভিহিত করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। সেই সঙ্গে কেরালার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কে করুণাকরণকে সাহসী প্রশাসক এবং সেই রাজ্যের বিখ্যাত মার্কসবাদী নেতা ইকে নায়নার কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৫ জুন) কেরালার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের সমাধি মুরালি মন্দিরমে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। সেখানে সাংবাদিদের প্রশ্নে উত্তরে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

সুরেশ কেরালা রাজ্য থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা আসনে জিতেছেন। করুণাকরণের ছেলে এবং কংগ্রেস নেতাকে মুরালিধরনকে পরাজিত করেই লোকসভা ভোটে জিতেছেন সুরেশ গোপী। তিনি ত্রিশূর লোকসভা আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গত ২৬ এপ্রিলের ভোটে কে মুরালিধরন তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

সুরেশ গোপী বলেন, মার্ক্সবাদী নেতা নয়নার এবং তার স্ত্রী সারদা শিক্ষকের মতো করুণাকরণ এবং তার স্ত্রী কল্যাণিকুট্টি আম্মার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি কান্নুরে নয়নার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ১২ জুন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়েছেন।

সুরেশ গোপী বলেন, ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি ‘ভারতথিন্তে মাথাভু’ (ভারতের মা) হিসেবে দেখেন। করুণাকরণ তার চোখে ‘রাজ্যের কংগ্রেস দলের পিতা’ ছিলেন।

অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কংগ্রেসের এ প্রবীণ নেতার (করুণাকরণ) প্রশাসনিক দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুরেশ গোপী। তাকে তার প্রজন্মের একজন ‘সাহসী প্রশাসক’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

;

যুদ্ধ অবসানের প্রত্যাশায় সুইজারল্যান্ডে বিশ্বনেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শনিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টক রিসোর্টে শুরু হয়েছে ‘ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন।’

এই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ায় রুশ হামলা শুরুর ২৮ মাস পরে এই সম্মেলন নতুন আশা জাগিয়েছে।

শান্তি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ৯০টির বেশি দেশ ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান। সম্মেলনটির লক্ষ্য ইউক্রেন সংঘাতের অবসানের জন্য একটি মৌলিক চুক্তিতে পৌঁছানো।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মনে করেন, স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এই সম্মেলন জোরালো ভূমিকা রাখবে। আর ইউক্রেনের জন্য এই সম্মেলন একটি বড় পাওয়া। রবিবার (১৬ জুন) শেষ হবে এই সম্মেলন।

তবে চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শক্তি পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।

এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের দাবি জানিয়ে যে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তাতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির প্রত্যাশা কম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এই শান্তি সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

সম্মেলনটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন খারকিভের কাছে উত্তর-পূর্বে রাশিয়া নতুন করে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেখানে বাড়িঘর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে।

ইউক্রেনের সংসদ সদস্য আলেক্সান্ডার মেরেকো মনে করেন, ভবিষ্যৎ শান্তির জন্য একটি রাজনৈতিক ও আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই শান্তি কেবলই আসতে পারে ২০২২ সালে তুলে ধরা জেলেনস্কির ১০ দফার ভিত্তিতে।

ওই ১০ দফাতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব অগ্রাধিকার পেয়েছে।

সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালাইসিসের (সিইপিএ) স্যাম গ্রিন বলেন, ‘আমি মনে করি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে সমর্থন জোগাড় করা।

সম্মেলনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যদিও এই সিদ্ধান্ত জেলেনস্কিকে রাগান্বিত করেছে। ভারত ও ব্রাজিল সম্মেলনে নিম্ন স্তরের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে।

এদিকে, এই সম্মেলনকে ‘অর্থহীন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

;

সুইডেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলো রুশ যুদ্ধবিমান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন যুদ্ধের নানা জটিলতার মধ্যে সুইডেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে রাশিয়ার বোমারু বিমান। রাশিয়ার এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান কৌশলগত বাল্টিক সাগরের গটল্যান্ড দ্বীপের কাছে এই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।

রয়টার্সকে শনিবার (১৫ জুন) এ খবর নিশ্চিত করেছে সুইডেনের সামরিক বাহিনী।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির সঙ্গে এমন সময় ঘটনাটি ঘটাল রাশিয়া, যখন ন্যাটো সদস্য হিসেবে সুইডেনের বয়স মাত্র তিনমাস পার হয়েছে।

সুইডেনের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, শুক্রবার (১৪ জুন) আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর রাশিয়াকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এই সতর্কতাকে গুরুত্ব দেয়নি রাশিয়া। তবে লঙ্ঘনের ঘটনাটি ছিল সংক্ষিপ্ত।

সুইডেনের বিমানবাহিনীর প্রধান জোনাস উইকম্যান বলেছেন, ‘রাশিয়ার পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি দেশটি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে।’

গটল্যান্ড দ্বীপটি রাশিয়ার এক্সক্লেভ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সুইডিশ সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গটল্যান্ড দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করে, সে বাল্টিক সাগরে বিমান ও নৌ চলাচলকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

সুইডেন ২০০৪ সালে সামরিক ব্যয় হ্রাস করার পর ২০১৮ সালে গটল্যান্ডে তার গ্যারিসন পুনরায় চালু করে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রাশিয়ার একতরফা অধিগ্রহণের ঘটনা সুইডেনকে তার সামরিক বাহিনীকে ফের শক্তিশালী করতে প্ররোচিত করে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় সুইডেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়া শেষবার সুইডিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল ২০২২ সালের মার্চ মাসে।

;

অবশেষে আজ প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানে আসছেন কেট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটেনের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের মাস পাঁচেক আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া ও অস্ত্রোপচারের খবর জানা হয়। তখন বলা হয়েছিল, চিকিৎসায় তার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তিনি।

আজ শনিবার (১৫ জৃন) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কোনো আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন কেট।

সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে কোনো আয়োজনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এর পর থেকে চলে টানা চিকিৎসা। এখনো কেটের চিকিৎসা চলছে। প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তিনি।

শনিবার মধ্য লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাজকীয় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যোগ দেবেন কেট।

রাজা চার্লস, কুইন কনসোর্ট ক্যামিলাসহ রাজপরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে কেটও বাকিংহাম প্রাসাদের ঝুলবারান্দায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে হাত নাড়বেন।

গত জানুয়ারি মাসে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কেট। সেই সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে সে সময় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কেটের অসুস্থতা ও প্রকাশ্যে না আসা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

এর মাস দু-এক পর একটি ভিডিও বার্তা দেন কেট। তাতে অশ্রুসিক্ত নয়নে নিজের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার কথা জানান তিনি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কেট বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তবে যারা কেমোথেরাপি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন, তারা জানেন, এখানে ভালো দিন ও খারাপ দিন আছে।’

বিবৃতিতে কেট আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহান্তে আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজা চার্লসের জন্মদিনের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করছি পুরো গ্রীষ্মে কিছু আয়োজনে অংশ নিতে পারব। তবে এটাও ঠিক, আমি এখনো শঙ্কামুক্ত নই।’

৪২ বছর বয়সি কেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। কেট ছাড়াও রাজা চার্লসও ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে।

;