সামরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত বাইডেন-জিনপিং



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন নিজেদের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে কমিয়ে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর এই দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, "আমরা সরাসরি, খোলা, পরিষ্কার যোগাযোগে ফিরে এসেছি।"
বাইডেন আরও বলেছেন, উভয় দেশ একে অপরের সাথে সামরিক যোগাযোগ স্থাপনে সম্মত হয়েছে।

এ বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একমত হয়েছেন তারা। তার মধ্যে অন্যতম সামরিক যোগাযোগ, ফেনটানাইল ইস্যু। মিটিং শেষে জো বাইডেন বলেছেন, আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ। কিছু ইস্যুতে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে।

অন্যদিকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক কখনো মসৃণ ছিল না বলে স্বীকার করে নেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, তাই বলে এই দুই সুপার পাওয়ারের একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা কোনো অপশন হতে পারে না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়েই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী। তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন। জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন তারা।

মিথেন নির্গমন ধীরগতির করার বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই দেশের নেতা। মিথেন হলো গ্রিনহাউসের ক্ষেত্রে শক্তিশালী একটি গ্যাস। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে নবাবয়নযোগ্য জ্বালানির উদ্যোগ তিনগুণ করায় সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় পক্ষই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি ফেনটানাইলের উৎস দমন করতে রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই ফেনটানাইলের অতিরিক্ত ডোজের কারণে সেখানে মৃত্যু বাড়ছে। গত বছর এই শক্তিশালী সিন্থেটিক অপিয়ড প্রায় ৭৫০০০ মানুষের মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে। এই পদার্থটি মাদক বা ওষুধের চালানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

উত্তেজনাকর একটি সময় পেরিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আবার। এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার শীর্ষে ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পর এই সামরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেয় চীন।

বৈঠকে দুই নেতা ইসরায়েল ও গাজার সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেছেন। এছাড়াও দুই পরাশক্তি যৌথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পরীক্ষা করতেও সম্মত হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ও বিপজ্জনক সমস্যা তাইওয়ান সম্পর্কে দীর্ঘ কথোপকথন করেছে শীর্ষ এই দুই নেতা।

এছাড়া বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং শি জিনপিং হ্যান্ডশেক করেছেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক সারাহ স্মিথের মতে এটা একটা ইতিবাচক লক্ষণ। তিনি বলেন, দুইটি সবচেয়ে শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টরা যখন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন এটা হলো কূটনৈতিকভাবে একটি অর্জন। যদি তারা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে একমত হয়ে থাকেন, তাহলে এ ঘটনাকে একটি সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

   

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে। তবে, ওই প্রতিবেদনে হেলিকপ্টারের আরোহী প্রেসিডেন্ট রাইসি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়া গেছে বলে অসমর্থিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

;

ইরানকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রবিবার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব বলেছে, ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্বেগের সঙ্গে এই বিধ্বস্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ।

এদিকে ইরাক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুসন্ধান মিশনে প্রতিবেশী ইরানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রবিবার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর ইরানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাইসির জন্য শঙ্কা বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, কাতারও বলেছে যে, ইরানের অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য তারা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা ইরানকে হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ম্যাপিং পরিষেবা সক্রিয় করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

;

ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাবরিজ যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর পর ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদুরি ঝারোমি।

রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আলী বাহাদুরি ঝারোমি লিখেছেন, ‘আজ (রবিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এর পর এক্সিকিউটিভ ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হন।’

উল্লেখ্য, রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর পর অন্তত দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও প্রেসিডেন্টের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী হলো তাবরিজ শহর।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

;