পিটিআইয়ের নেতৃত্বে গহর আলী খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নেতৃত্বে এসেছেন নতুন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান।
শতাধিক মামলায় কারাবন্দী ইমরান খান নিজেই গহর আলীকে তার উত্তরসূরী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভোট আহ্বান করেছিল পিটিআই হাইকমান্ড। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেছেন ভোট পরিচালনাকারী টিমের সদস্য নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি।
নিয়াজি জানান, নতুন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব পদেও পরিবর্তন এসেছে। পিটিআইয়ের নতুন কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলী আমিন গান্দাপুর। সাবেক মহাসচিব আসাদ ওমরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ।
উল্লেখ্য, নেতা-কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রদবদল হয়। এবং ভোটের ফলাফল দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে জমাও দিতে হয়।
সেই অনুযায়ী শনিবার দলের নতুন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্ধারণে নেতা কর্মীদের ভোট আয়োজন করেছিল পিটিআইয়ের হাইকমান্ড। তারপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল জানিয়েছেন নিয়াজি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে, কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি তার দলীয় পদ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন। আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ইমরান খানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। আদালত থেকে নির্দোষ ঘোষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দলীয় পদ বা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা ফিরে পাবেন না।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৯ নভেম্বর দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ইমরান খান এবং দলের নতুন চেয়াম্যান হিসেবে মনোনীত করেন গহর আলী খানকে, যিনি বিভিন্ন মামলায় তার প্রধান আইনজীবী ছিলেন।
১৯৭৮ সালে রাজধানী ইসলামাবাদে জন্ম নেওয়া গহর আলী খানের আদি বাড়ি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলায়। তার পিতা আলী গহর খান পাকিস্তনের একজন সরকারি কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মাতা শাহনাজ আলী খান একজন চিকিৎসক ও প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ।
গহর আলী খানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) মাধ্যমে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিপিপির ব্যানারে খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিজের পৈতৃক এলাকা বুনের জেলায় প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
তার ১৪ বছর পর ২০২২ সালে পিটিআইয়ে যোগ দেন তিনি। ইমরান খানের বিভিন্ন মামলায় তার আইনজীবীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দলের শীর্ষ নির্বাচন কমিশনারও ছিলেন তিনি।