চীনে নিউমোনিয়া আক্রান্তের দেহে মাইকোপ্লাজমা শনাক্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিং, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিংসহ বিভিন্ন শহর ও প্রদেশের শিশুদের মধ্যে রহস্যজনক নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকরা। শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর এরই মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার মতো মহামারির আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে অনেকের মাঝে।

তবে এ বিষয়ে চীনা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্পর্কিত অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক এই সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচওর আহ্বানে রোগটি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিশন জানিয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তাদের দেহে নতুন ধরনের কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি, বরং মাইকোপ্লাজমা নামে এক ধরনের পরিচিত ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাইকোপ্লাজমা বেশ পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়া যা শিশু ও বয়স্ক উভয়ের দেহেই সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। বয়স্কদের মধ্যে যারা এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হন তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি ও মৃদু শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায়। সাধরণ ওষুধে কিংবা ওষুধ ছাড়াই এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে তা সেরেও যায়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তা খানিকটা ভিন্ন। কারণ, তাদের শ্বাসতন্ত্র বয়স্কদের মতো শক্তিশালী নয়। ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে রহস্যময় এই নিউমোনিয়া সত্যিকারের নিউমোনিয়া হয়ে গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে।

ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের পাঠানো এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, নতুন কোনো জীবাণু এই নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী নয়। 

এছাড়াও শনাক্তকৃত মাইকোপ্লাজমা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের স্বীকৃত ওষুধও বাজারে রয়েছে। ফলে যদি চীনের বাইরে এই রহস্যময় নিউমোনিয়া ছড়িয়েও পড়ে তাহলেও তা করোনা মহামারির মতো বড় কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

 

   

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কার, চলছে ধরপাকড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন ধরে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। একইসাথে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (১ মে) ওয়াশিংটনের পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আদেশ জারি করার পর নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে।

পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে।

এদিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। গতকাল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। একইসাথে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ।

 

;

‘এ সপ্তাহে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিসি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ পরিচালনা ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা।

সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা প্রসঙ্গে আইসিসির কাছে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র- দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেফতার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেফতার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

;

আফগানিস্তানে শিয়া মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে অজানা বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন। তবে এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেননি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলার আন্দিশা এলাকার ইমাম জামান মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা ও আফগানিস্তানভিত্তিক আমু টিভি এ খবর জানায়।

আলজাজিরা ও আমুটিভি জানিয়েছে, সোমবার রাত নয়টার দিকে শিয়া মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় অজানা বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন।

কাবুলের ইরানের দূতাবাস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয়, আইএস (ইসলামিক স্টেট) এ হামলার জন্য দায়ী। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর অনেকবারই আইএস (ইসলামিক স্টেট) শিয়াদের মসজিদে হামলা করেছে। তালেবান সরকার যদিও বলে এসেছে, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা একটা চোখে পড়েনি বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।

;

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আশা করা হচ্ছে, আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন বরেল। 

সম্মেলনের অবসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।

গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।

এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণার শামিল।

;