মিয়ানমারে রাজধানী শহর লোইকাও দখলের পথে বিদ্রোহীরা
মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাওয়ের দখল নিতে এগিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা। লোইকাও দখল করতে পারলে এটিই হবে প্রথম কোনো রাজ্যের রাজধানী, যা বিদ্রোহীদের দখলে যাবে।
তবে রাজধানী এখনও জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও দেশটির বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র অংশের সমন্বয়ে গঠিত এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএওএস) সৈন্যরা লোইকাওয়ের দখল নিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের নেতা লিন লিন বলেন, ‘আমাদের সৈন্যরা প্রায় সবাই লোইকাও শহরের এবং এটিই মূলত আমাদের শহরটির দখল নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। আমরা আমাদের আবাসস্থল ফেরত পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মিয়ানমারে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান পিডিএফ ও ইএওএসের সৈন্যদের সাথে জান্তা বাহিনীর লড়াইয়ে দখলের পথেই রয়েছে রাজধানীটি। পর্বতবেষ্টিত এই শহরে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। তবে পিডিএফ যোদ্ধারা জানিয়েছে, জান্তা বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা এবং শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে শহরটির বেশির ভাগ বাসিন্দাই পালিয়ে গেছে।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো লোইকাও দখলে এগিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং গত বুধবার দাবি করেছেন, লোইকাওয়ে সরকারি সৈন্যরা ‘ব্যাপক শক্তিমত্তা দেখিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের পরও লোইকাওয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে, লোইকাওয়ে তীব্র যুদ্ধের কারণে শহরটি থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মূলত ব্যাপক বিমান হামলা ও শহরের ভেতরে তুমুল লড়াইয়ের কারণে তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।