মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত ভারত: মুইজ্জো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জো। জানিয়েছেন, মালদ্বীপ থেকে নিজেদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত সরকার।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন চীনপন্থি মুইজ্জো। নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে মালদ্বীপ থেকে ভারতের সব সেনাকে ফেরত পাঠাবেন তিনি। ছোট এ দেশটিতে ভারতের মাত্র ৭৫ জন সেনা আছেন।

ভারতের সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে মুইজ্জো রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, যে আলোচনা আমাদের হয়েছে, ভারত সরকার সেখানে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট সম্পর্কিত যেসব ইস্যু রয়েছে সেগুলো সমাধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনে রাজি হয়েছি আমরা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এর ফাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুইজ্জো। এরপরই তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

   

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় যুদ্ধ শেষ হলে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বাহিনী থেকে মিশর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের দাবি, যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ রাখতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ এ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও এতো কোনো মার্কিন সেনা থাকবে না। আরব দেশগুলোকে এতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন নেতৃত্ব দেবে। যদিও তা বাস্তবায়নের এখনও অনেক কাজ বাকি।

;

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে নিহত ১৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি নামলে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন শিশু রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

মারা যাওয়া ওই তিন ব্যক্তি হলেন- চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১)। অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯)। ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

এ ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্ৰামে কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন- নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)।

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ও ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

;

বাইডেনকে তিরস্কার করে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদারে বিল পাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করায় রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (প্রতিনিধি পরিষদ) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তিরস্কার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদার করতে প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিলটি ২২৪-১৮৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়র্টাস। বিলে রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলের ১৬ জন হ্যাঁ ভোট দিয়েছেন এবং ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তিনজন রিপাবলিকান বিলের বিরোধিতা করেন।

এর আগে, গাজার রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে।

ইসরায়েলকে নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত সামরিক যান ও ৬ কোটি ডলারের মর্টারের গোলা।

তবে কত দ্রুত এসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা পাঠানো হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার মুখে গাজার দক্ষিণে রাফায় আশ্রয় নেন লাখ লাখ মানুষ। এবার সেখানেও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। তাদের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা আবেদনের ওপর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে প্রিটোরিয়া। শুনানিতে দেশটির অভিযোগ—গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের শীর্ষ এ আদালতে আবেদনটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযান ঘিরে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো আদালতটির কাছে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানাল দেশটি।

এর আগে উপত্যকাটিতে গণহত্যার অভিযোগ এনে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

;

খারকিভে কঠিন লড়াই চলছে, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে: জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে বলে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা দখলদারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি সাধন করছে। তিনি বলেন, তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের ইউনিটকে শক্তিশালী করছি।

খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ফ্রন্ট লাইনকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার অগ্রগতি আংশিকভাবে থামাতে সক্ষম হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মস্কো ৯ থেকে ১৫ মের মধ্যে ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

;