টিকটক নিষিদ্ধ করলো ফ্রান্স, নিউ ক্যালেডোনিয়ায় সেনা মোতায়েন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত তিন রাতের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য নিউ ক্যালেডোনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে ফ্রান্স।

রয়টার্স জানিয়েছে, নিউ ক্যালেডোনিয়ার বন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক।

নিউ ক্যালেডোনিয়ায় সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে নতুন ভোটদানের নিয়ম আরোপ করার ফরাসি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদিবাসীদের বিক্ষোভ পরবর্তীতে সহিংস দাঙ্গায় রূপ নেয় বলে জানা গেছে।

আদিবাসীদের এই বিক্ষোভ ১৯৮০ সালের পর দেশটিতে সবচেয়ে মারাত্মক সহিংস ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার জন নিহত হয়েছেন।

ফরাসি রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী হাই কমিশনের এক বিবৃতি অনুসারে, নিউ ক্যালেডোনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী পাঁচজন সন্দেহভাজন নেতাকে গৃহবন্দী করেছে।

হাই কমিশন জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০০ জনেরও বেশি দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নউমিয়ায় দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘দাঙ্গাবাজরা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং শিকারের রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়েছে।

   

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ শুক্রবার (১৪ জুন) শুরু হয়েছে। হজ পালন করতে এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌদি আরবের মিনায় পৌঁছে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর কেউ হেঁটে, কেউ বাহনে চড়ে সেখানে জড়ো হয়েছেন। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আজ মুখরিত হবে তাঁবুর শহরখ্যাত মিনার প্রান্তর।

আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে হয় আরাফাতের দিন। আর ১০ জিলহজে পশু কুরবানি করেন হাজিরা। আরবি হিজরি সন ১৪৪৫ এর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ (সৌদি আরবের তারিখ অনুযায়ী) আজ। ১০ জিলহজ কুরবানি শেষে আরও দুইদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। অর্থাৎ হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।

সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে হজে গেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন। হজের প্রথম দিন পুরুষ হাজীরা সেলাই ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারী হাজীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়। যেমন কারও সঙ্গে রাগারাগি না করা এবং যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়া।

ইহরাম বাধার পর দলে দলে হাজিরা মিনায় যান। বেশিরভাগ মানুষ বাসে ও গাড়িতে গেলেও কেউ কেউ হেঁটেও মিনায় যান। এটি ৮ কিলোমিটারের একটি পথ। হজের অংশ হিসাবে ৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন থাকবেন হাজিরা। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সন্ধ্যার পর মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা করবেন। সেখানে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। 

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। এরপর বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কুরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান এবং প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ প্রতিবারের মতো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গতবারের মতো এবারও প্রচণ্ড গরমের ভোগান্তি সঙ্গী হচ্ছে হজযাত্রীদের। হজের সময় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছাতে পারে বলে হজযাত্রীদের সতর্ক করেছে মক্কার আবহাওয়া দপ্তর।

বলা হয়েছে, এ বছর হজযাত্রীরা কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। এর মধ্যে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অন্যতম।

;

যাত্রীবাহী ফেরি চালু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে ইতিমধ্যে এ সম্পর্কিত আলোচনাও শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দ্য ডেইলি মিরর এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ফেরি চলাচল শুরু করতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও রনিল বিক্রমাসিংহের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
মাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। এক্সপার্তায় বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অবসরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ইস্যু এসেছে। শ্রীলঙ্কার কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ খাতে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আমি শিগগিরই শ্রীলঙ্কার কৃষিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠাব।’

এক্স বার্তায় তিনি আরও বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি সেখানে আমার প্রতিনিধিত্ব করবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই প্রথম যাত্রীবাহী ফেরি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ভ্রমণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি ছিল। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। মাঝখানে প্রায় চার দশক বন্ধ থাকার পর গত বছর অক্টোবের তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ের মধ্যে নতুন ফেরি চালু হয়।

;

তৃতীয়বারের মতো অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী হলেন পেমা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অটুট রইল বিজেপির জুটি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) টানা তৃতীয়বারের মতো প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন পেমা খান্ডু। তার সঙ্গেই আবার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছে চওনা মেইন।

বিদায়ী মন্ত্রিসভাতেও তিনি পেমার ডেপুটি ছিলেন। পেমা এবং মেইনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কেটি পরনায়েকের কাছে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলের সর্বভারতীয় নেতারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এবার ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের আগেই পেমাসহ বিধানসভার ১০ জন বিজেপি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন।

যে ৫০টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ৩৬টিতেই জিতে ৪৬-এ পৌঁছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পেমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপি। পাঁচটিতে মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি। বাকি তিনটিতে অজিত পওয়ারের এনসিপি, দুটিতে পিপল্‌স পার্টি অফ অরুণাচল (পিপিএ), একটিতে কংগ্রেস এবং তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে অরুণাচলে কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল পদ্মশিবির। এবার কংগ্রেস, এনপিপির মতো বিরোধী দলগুলো থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা পুনর্দখল কার্যত নিশ্চিত বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল। কার্যক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

গত দেড় দশকে ইটানগরে বহুবার রাজনৈতিক টানাপোড়েন হয়েছে। ২০১১ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পেমার পিতা তথা তৎকালীন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খান্ডুর মৃত্যু হয়। এর পরে অশান্তি শুরু হয় কংগ্রেসের ভেতরে।

প্রথমে জারবম গ্যামলিন মুখ্যমন্ত্রী হন। কংগ্রেসে শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু, কংগ্রেস হাইকমান্ডের সমর্থনে ক্ষমতা দখল করেন নাবাম টুকি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪২ আসনে জিতলে টুকি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন।

কিন্তু, কালিখো পুলের নেতৃত্বে পেমাসহ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কেরা তাকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন। মামলা আদালতে গড়ায়। রাষ্ট্রপতি শাসনে টুকি ক্ষমতা ফিরে পেলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব পেমার এবং তার অনুগামীদের দাবি মেনে তাকেই মুখ্যমন্ত্রী করেন।

২০১৬ সালে পেমার নেতৃত্বে অধিকাংশ বিধায়ক দলবদল করে পিপিএতে যোগ দেন। আঞ্চলিক দল পিপিএ সরকার গড়ে। পরে তারা ফের দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন।

এরপর ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি অরুণাচলে ক্ষমতা দখল করে। এবারও বজায় থেকেছে সেই জয়ের ধারা।

গত কয়েক দশক ধরেই দেখা গেছে যে, দিল্লিতে যার সরকার, অরুণাচল সেই দলের দিকেই ঝোঁকে। তাদের ধারণা, কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়া সহজ হয়। দলবদলের যুক্তি হিসেবে আট বছর আগে সেই যুক্তিকেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন পেমা।

;

বাংলাদেশে কোকাকোলার বিক্রি কমেছে ২৩ শতাংশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুজাতিক কোম্পানি কোকাকোলার একটি বাংলা বিজ্ঞাপনের ভিডিও রিল প্রচারের পর বাংলাদেশে পানীয়টির বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। এর পর পরই বাংলাদেশে কোকাকোলার বিক্রি ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট’ এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন কোম্পানি ইসরায়েলের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছে এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে কোকাকোলা অন্যতম। যদিও কোকাকোলা ইতোপূর্বে এ তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করে।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে অর্থায়ন করছে না কোকাকোলা তা প্রমাণ করতে কোকাকোলা বাংলাদেশ ইউটিউবে একটি ভিডিও রিল আপলোড করে।

এতে দেখানো হয়, এক দোকানদার একজন ক্রেতার কাছে জানতে চান, তিনি কোকাকোলা নিতে চান কিনা। এর উত্তরে ক্রেতা জানান, তিনি কোকাকোলা পান করা বন্ধ করেছেন। কারণ, এটি ‘সেই দেশ’ থেকে এসেছে (যদিও তিনি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেননি)। ক্রেতার কথার জবাবে দোকানদার তাকে জানান যে, ‘এটি সেই জায়গা’ (ইসরায়েল) থেকে নয়। এসময় তিনি সামাজিক গণমাধ্যম ঘেটে বলেন, এটি তুরস্ক এবং স্পেনসহ ১শ ৯০টি দেশে ১শ ৩৮ বছর ধরে পান করা হয়েছে।

কিন্তু সে ভিডিও রিলে এ তথ্য জানানো হয়নি যে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সংসদ দেশটির রেস্তোরাঁগুলোত ‘কোকাকোলা’ এবং ‘নেসলে’ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

রোববার (৯ জুন) টি২০ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচে উপলক্ষে ভিডিও রিলটি আপলোড করা হয়। ইউটিউবে রিলটি প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল কোকাকোলার ভাষায় ‘অপতথ্য রোধ’ করা।

কিন্তু তথ্য গোপন করার কারণে বাংলাদেশে সমালোচনা শুরু হয়। এতে করে বাংলাদেশে কোকাকোলা বিক্রি ২৩ শতাংশ হ্রাস পায় বলে ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট’-এর খবরে বলা হয়।

বিজ্ঞাপনের রিলে অংশগ্রহণকারী অভিনেতা এবং পরিচালক ‘জনগণের অনুভূতিতে আঘাত’ লাগায় ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।

বিজ্ঞাপনের প্রযোজক এবং অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘এই বিজ্ঞাপনে ইসরায়েলের পক্ষ টানিনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই’!

 ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করা শরাফ আহমেদ জীবনের বক্তব্য

১০ জুন রাতে শরাফ আহমেদ জীবন তার ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে আমি নির্মাণ ও অভিনয়ের সাথে জড়িত।

সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ আমার সাথে তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য নিয়োগ করেছিলো। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। এখানে আমি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নেইনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই। আমার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে’।

অন্যদিকে, শিমুল শর্মা ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, তিনি ‘না বুঝেই’ বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন এবং ‘আমি বুঝতে পারছি, এটি আমার ভক্ত, আমার পরিবার এবং দেশের জনগণকে আঘাত করেছে! আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আমি দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার এবং জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কাজ করবো’!

;