সামরিক উৎপাদন বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বারকলিপি স্বাক্ষর ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সামরিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে উমেরভ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওই স্বারকলিপির আওতায় আরও অস্ত্র উৎপাদন করা হবে! ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথ উৎপাদন এবং প্রযুক্তিগত তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে ওই স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে।’
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে প্রতিরক্ষা শিল্প সম্মেলন ‘ডিএফএনসি১ : মার্কিন সংস্করণ’ চলার সময় স্বারকলিপিটি স্বাক্ষর করা হয়।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপির আওতায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে তাদের অস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।
প্রতিরক্ষা শিল্প সম্মেলন ‘ডিএফএনসি১: মার্কিন সংস্করণের’ লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প উদ্যোগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতাকে সমর্থন করা, যা বুধবার শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন তাদের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতার বিল আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রিপাবলিকান সিনেটররা মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে বিলটি আটকে দেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত ১১০.৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৪৯টি, বিপক্ষে ৫১টি। এর অর্থ হলো বিলটি নিয়ে ১০০ সদস্যের সিনেটে বিতর্কের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ জনের সমর্থন পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য নতুন এ তহবিলের প্রস্তাবে সায় দিতে জো বাইডেনের যুক্তি ছিল, এ অর্থ বরাদ্দ না দিলে তা হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘উপহার’।
আবার চলতি শীত মৌসুমে ইউক্রেন বরফে জমে গেলে অর্থের অভাবে সেখানকার লোকজন ভীষণ কষ্টে থাকবেন। প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বাইডেন ৬১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য। বাকি অর্থ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজাকে সহায়তায়।
তবে স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সাধারণত ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোট দিলেও এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরয়েলের অমানবিক সামরিক কৌশল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন তিনি।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতা চাক শুমার ‘না’ ভোট দিয়েছেন। যাতে আবার বিলটি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব আনতে পারেন তিনি।
রিপাবলিকানরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসন নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে ওই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।