ভারী বর্ষণে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা, ডুবলো বিমানবন্দর

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে ওই অঞ্চলে হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে মারাত্মক বন্যায় পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়েছে, বন্যার পানিতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশটির একটি বিমানবন্দর প্লাবিত হয়েছে। এমনকি পানিতে প্লাবিত শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির, এমন দৃশ্যও সামনে এসেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় হাজারও মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছেন।লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে।

বিজ্ঞাপন

এখনো পর্যন্ত বন্যায় কারো মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগামী আরও ২৪ ঘণ্টা ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সেখানকার বিদ্যুৎ ও রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং অনেক এলাকায় নিরাপদ খাবার পানীয় কমে যাচ্ছে।

একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুইন্সল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ভারী এ বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কেয়ার্সন নগরীতে ২ মিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার স্টেভেন মাইলস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন, 'আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ প্রকৃতিক দুর্যোগ এটি। আমি কেয়ার্নসের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, তারা অতীতে কখনো এমন কিছু দেখেননি।'

তিনি বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- ক্রমবর্ধমান পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া। কেয়ার্নসের প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার (১১০ মাইল) উত্তরে প্রত্যন্ত শহর উজাল উজালের অনেক বাসিন্দা এই বন্যায় আটকা পড়েছেন।

সেখানে জরুরি সেবাদানকারী কর্মীরা একদল লোকের কাছে পৌঁছাতে না পারায় অসুস্থ শিশুসহ নয়জন হাসপাতালের ছাদে রাত কাটিয়েছেন। সোমবার তাদেরকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু পুরো শহরটি এখন খালি করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া দরকার।'

স্টিভেন মাইলস আরও বলেন, 'এদিকে আমাদের খাবার পানীয়, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ, রাস্তাগুলোর অবস্থাও খুব খারাপ। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক রাস্তা অবরুদ্ধ এবং আমরা সেখানে আকাশপথেও যেতে পারছি না।'

আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানকারীরা বলেছেন, সোমবারের বেশিরভাগ সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবে মঙ্গলবার বৃষ্টি কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করছেন তারা।