রেডক্রসের মাধ্যমে ৮০ ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দিল ইসরায়েল
গাজায় নিহত ৮০ ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। এসব লাশের মধ্যে কোনও জিম্মি ছিল কি-না তা দেখতে মর্গ ও কবর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) লাশগুলো ফেরত দেওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্রটি জানিয়েছে, ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া এসব লাশ রেডক্রসের মাধ্যমে হামাসকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাদের গাজায় গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। ওই হামলায় এক হাজার ১৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জিম্মি আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েল হাসাসকে নিশ্চিহৃ করার অঙ্গীকার করেছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনী নিহত ও প্রায় ৫৫ হাজার আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডকে নিরস্ত্রিকরণ না করা হলে এবং ফিলিস্তিনি সমাজ কট্টর মৌলবাদী চিন্তা থেকে বেরিয়ে না আসলে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধ জোরদার করার হুশিয়ারি উচ্চারণ করার পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বড়দিনের প্রাক্কালে গাজার এক শরণার্থী শিবিরে হামলায় পরিবারের সকলের নিহত হওয়ার বিভীষিকাময় বর্ণনা তুলে ধরে সোমবার (২৫ ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এমন মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু।
সোমবার রাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু হামাসকে সমূলে ধ্বংস করতে যুদ্ধ আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসকে অবশ্যই ধ্বংস করতে হবে। গাজাকে অবশ্যই নিরস্ত্রিকরণ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি সমাজকে অবশ্যই কট্টর মৌলবাদী চিন্তা থেকে মুক্ত করতে হবে। গাজায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই তিনটি বিষয় হলো পূর্বশর্ত।’
তিনি বলেন, নিরস্ত্রিকরণের জন্য এ অঞ্চল পরিসীমায় একটি অস্থায়ী নিরাপত্তা জোন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, অদূর ভবিষ্যতের জন্য ইসরায়েলকে গাজার উপর কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্ব বজায় রাখতে হবে।
এর আগে সোমবার নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা পরিদর্শন করে ফিরে আসার পর তার লিকুদ পার্টির এক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা গাজায় থামছি না।’
লিকুদ পার্টির দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা সেখানে যুদ্ধ আরো জোরদার করতে যাচ্ছি।’