পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের ভাগ্যের শুনানি আজ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের প্রধান নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সুপ্রিম কোর্ট।  মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, নির্বাচনী আইন- ২০১৭ এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাকে যাবজ্জীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট যদি সেই রায়কে বহাল রাখে, তাহলে নওয়াজ শরিফ নির্বাচন করতে পারবেন না। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বে সাত বিচারকের বেঞ্চ শুনানি করতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত মাসে পিএমএল-এনের প্রাদেশিক সাবেক আইনপ্রণেতা সরদার মীর বাদশাহ খান কাইসরানি অযোগ্য ঘোষণার বিরুদ্ধে আপিল করেন। এতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানালে গত ১১ ডিসেম্বর এর ওপর শুনানিও হয়।

শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের যাবজ্জীবন অযোগ্য ঘোষণা এবং নির্বাচনী আইন-২০১৭ সংশোধনী একই সঙ্গে বিদ্যমান থাকতে পারে না বলে পর্যালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইশা। তিনি বলেন, হয়তো পার্লামেন্ট থেকে পাশ করা নির্বাচনী আইন-২০১৭ টিকবে, না হয় সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় টিকবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২০১৮ সালে দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫২(১)(এফ)-এর অধীনে কোনো ব্যক্তিকে যদি অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলে তিনি সারাজীবন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

কিন্তু ওই রায়ের পর ইমরান খানের সরকারের প্রায় দেড় বছর বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসে পাকিস্তান ডোক্রেটিক মুভমেন্ট জোট। তারা নির্বাচনী আইন-২০১৭ সংশোধন করে তাতে আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণার মেয়াদ যাবজ্জীবনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫ বছর করে দেয়। 

সমালোচকরা বলেন, নওয়াজ শরিফকে রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসনের জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে হওয়া এই রায় দেওয়ার ৫ বছর ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছে।

কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সংবিধানের ধারা এবং নির্বাচনী আইন-২০১৭ এর সংশোধন একসঙ্গে চলতে পারে না। ফলে সুপ্রিম কোর্ট কোন দিকে রায় দেয় তা বলা মুশকিল।