মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমর্থনের কথা জানালেন শি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ছবি : সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ছবি : সংগৃহীত

কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে চীন সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

অবকাঠামো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং মালদ্বীপের প্রতি তার ওই সমর্থনের কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

গত বছর সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মূলত চীনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।

এদিকে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মুইজ্জু চীন সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। দুদিন আগে চীন এলেও বুধবার (১০ জানুয়ারি) জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।

বিজ্ঞাপন

ঐতিহাসিক গ্রেট হলে পৌঁছানোর পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয় তোপধ্বনির মাধ্যমে। দেওয়া হয় গার্ড অব অনারও। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দেশটির ফার্স্ট লেডি।

এর পরই তাদের স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর বৈঠকে বসেন দুই প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ছাড়াও ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে বেইজিং-মালে সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন জিনপিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে শি বলেছেন, নতুন পরিস্থিতিতে অতীত অর্জনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে দুদেশ।

চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, চীন ও মালদ্বীপ একে অপরের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী। গত পাঁচ দশক ধরে দুদেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান ও সমর্থন করে আসছে। এর পাশাপাশি গেল ১০ বছরে দুদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা থেকে অনেক সুফলও অর্জিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় মালদ্বীপে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু।

সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালদ্বীপের পর্যটন খাত নিয়ে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে মালের যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তার মর্যাদা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের যতগুলো প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ।’

দুদেশের স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

মুইজ্জুর সফরকালে দুদেশ জলবায়ু, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বেশি কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সমুদ্রসম্পদ ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটন নির্ভর। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ২৮ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এ ছাড়া মালদ্বীপের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশও এ খাত থেকেই আসে।