‘আগামী মাসগুলোতে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি’
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে লেবাননের সঙ্গে আগামী মাসগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইসরায়েলের সেনাপ্রধান বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি জানি না যুদ্ধ ঠিক কখন শুরু হবে। তবে আগামী মাসগুলোতে এ যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।’
ইসরায়েলের সেনা ও হামাস মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় চলছে।
তবে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণে গত মঙ্গলবার এক দিনে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে।
গত তিন মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহ সংঘাতে ১৯০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা রয়েছে ১৪০ জনেরও বেশি। বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যাও ২০ জনের বেশি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ৯ সেনা ও ছয় বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের জন্য ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত ঘোষণা করেছেন হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জোর দিয়ে বলেছেন, শর্ত অনুযায়ী ওষুধ বহনকারী ট্রাকগুলো অবশ্যই ইসরায়েল পরিদর্শন ছাড়াই গাজায় প্রবেশ করবে।
উল্লেখ্য, কাতার এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত একটি চুক্তির অধীনে গাজায় জিম্মিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের বিনিময়ে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্যও ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ৪৫ জন জিম্মির জন্য ওষুধ পাবে হামাস। এরপরই বুধবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য মুসা আবু মারজুক জিম্মিদের ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত প্রকাশ করেছেন।
তিনি এক্স-এ বলেছেন, ‘জিম্মিদের প্রতি বাক্স ওষুধের বিপরীতে গাজার বাসিন্দাদের জন্য ১,০০০ বাক্স ওষুধ প্রবেশ করাতে হবে।’
মারজুক বলেন, ‘ওষুধগুলো ফ্রান্সের মাধ্যমে নয়, বরং হামাসের ট্রাস্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ওষুধগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে। ওষুধের ট্রাকগুলো ইসরায়েলের পরিদর্শন ছাড়াই প্রবেশ করবে।’
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করা সব সাহায্য সরবরাহ ইসরায়েলের তদন্তের পরেই সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এখনো হামাসের সর্বশেষ শর্তের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি।
মিশরের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ বহনকারী একটি কাতারি বিমান বুধবার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে মিশরীয় শহর এল-আরিশে পৌঁছেছে।
ফ্রান্স বলেছে, ওষুধগুলো রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হবে, যেখানে সেগুলো রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং জিম্মিদের কাছে স্থানান্তর করার আগে ব্যাচে বিভক্ত করা হবে।