‘ইসরায়েলের চোখ’র কান্না পাত্তা দেয়নি উচ্চপদস্থরা



নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত (বাম থেকে  শাহাফ, সাই আশ্রম, রনি লিফশিটজ)

ছবি: সংগৃহীত (বাম থেকে শাহাফ, সাই আশ্রম, রনি লিফশিটজ)

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ অক্টোবর হামাস আচমকা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলের সীমান্তে। সেখানে কর্তব্যরত ইসরায়েলি সেনা সদস্যদের অনেকে মারা যায়। হামাসের অপারেশন আল-আকসা-ফ্লাড এর মাধ্যমেই শুরু হয় দুর্ধর্ষ ইসরায়েল-ফিলিস্তান যুদ্ধ। তবে, যথাযথ গুরুত্ব পেলে হয়তো যুদ্ধের এই ভয়াবহ রূপ দেখতে হতো না। কারণ হামলার ঘটনাটি একেবারেও আচমকা ছিল না। এমন কিছু যে হতে পারে, তার কিছুটা আভাস পেয়েছিল ‘ইসরায়েলের চোখ’।     

‘ইসরায়েল-গাজা’ সীমানায় কর্মরত তরুণী সদস্যরা সীমান্তরক্ষী হিসেবে কাজ করতো। ‘ইসরায়েলের চোখ’ নামে পরিচিত তারা। সেনা সদস্যদের একটি ইউনিট কয়েক বছর ধরে এখানে পাহাড়া দিত। সন্দেহজনক কোনো লক্ষণ নজরে এলেই উচ্চ কর্মপদস্থদের জানাতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই ঘাঁটিতে বসে পালাক্রমে নজরদারি করতেন তরুণীরা ।

হামাসের আক্রমণ করার কয়েক মাস আগে তারা কিছু ঘটনা লক্ষ্য করেছিলেন। সীমান্তের ওপারে কৃষকদের অদ্ভুত আচরণ তাদের নজরে আসে। সেখানে তারা অনুশীলন, অভিযান, জিম্মি করার মহড়া দিয়ে চর্চা করতো।

পাহাড়ায় থাকা নারী সেনা সদস্যদের মধ্যে একজনের ছদ্মনাম 'নোয়া'। তিনি জানান, সীমান্তের সব অদ্ভুত কার্যকলাপ দেখার পর, তারা গোয়েন্দা এবং উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের জানান। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), দেশের সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তারা অবহেলা করেছেন। বাস্তব ‘চোখ’-এর মতো শুধু দেখা ছাড়া তখন আর কিছুই করার ছিল না। তবে তারা নিশ্চিত ছিলেন, হামাস খুব বড় কোনো পরিকল্পনা করছে।    

হামলার আগে নারী সেনাদের পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের বার্তাও সামনে এসেছে। সাবধান করার পরও ঊর্ধ্বতর কর্মকর্তারা সোচ্চার হন নি। বরং তাদের বার্তা নিয়ে রসিকতা করা হয়। অনিবার্য আক্রমণের সময় কে দায়িত্ব পালন করবে-তা নিয়ে ঠাট্টা করতে দেখা যায়।

সাধারণ জনগণ এই ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করেছিল। তাই, সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়ায় প্রশ্ন এবং ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। সময় মতো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, সামরিক গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনো রকম উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা বর্তমানে হামাসের সন্ত্রাসী হুমকি প্রতিরোধে ব্যস্ত। আক্রমণকারীদের নির্মূল করার দিকে মনোনিবেশ করছেন বলে জানায়।

এক সাবেক কমান্ডার বলেছেন, সীমান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো তারা একত্রিত করেননি। যদি করতেন, তাহলে সব সরলরেখায় সাজাতে পারতেন। এখানেই তাদের ভুল হয়েছে। হামাসের হামলায় অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। তাদের পক্ষে এই ঘটনার সম্মুখীন করা সম্ভব হতো। অন্তত মৃতের সংখ্যা এত বেশি হতো না। হামলায় সন্তান হারিয়ে শোকার্ত নারী সদস্যদের পরিবার।

হামলার দিন সীমান্তে দায়িত্বরত ছিলেন ১৯ বছর বয়সী সাই আশরাম। পরিবারের সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তখন। হঠাৎ ভেসে আসে গুলিবর্ষণের শব্দ। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির কথা জানান সাই। তিনি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বড় কিছু ঘটতে চলেছে। সেদিন এক ডজনেরও বেশি নারী সদস্য প্রাণ হারায়। সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মিও হয় অনেকে।  

কন্যা শোকে আজও দুর্বল হয়ে আছেন সাইয়ের বাবা ডর। মেয়ের শোয়ার ঘর এখনো আগের মতোই সাজিয়ে  রেখেছেন। ড্রেসিং টেবিলের পাশে ঝুলছে গর্বের ব্যারেট। তার উপরে সামরিক পোশাকে পরা ছবি। নিজের পেশার প্রতি অনেক ভালোবাসা এবং গর্ব ছিল সাইয়ের। সেই কথা স্মরণ করে এখনো মেয়ের রুমে গিয়ে কাঁদেন ডর।

গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে নাহাল ওজের ঘাঁটি। হামাসের আক্রমণের সাথে সাথে সেখানকার নারীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিদায় জানাতে শুরু করে। নোয়া তখন ডিউটিতে ছিলেন না। বাড়িতে থেকেই বার্তাগুলো পড়েন। তাদের আশঙ্কা সত্য হয়েছে ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছিলেন।

রনি লিফশিটজও হামলার সময় ডিউটিতে ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি লক্ষ্য করেন, হামাসের কর্মকাণ্ড। যোদ্ধা ভর্তি যানবাহিনী নিয়মিত টহল দিতে বের হতো। পোশাক দেখে তাদের হামাসের অভিজাত নুখবা বাহিনীর সদস্য বলে চিহ্নিত করেন রনি। সেই সময় তারা নানাদিক থেকেই নজর রাখার চেষ্টা করে। ক্যামেরা দিয়ে সরাসরি ধারণ করা দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টাও করে। হামলা যেভাবে করা হবে- তার অনুশীলন প্রতিদিন দেখতেন তারা। মডেল ট্যাঙ্ক দিয়ে বেড়া উড়িয়ে দখল করার চর্চা করতেন তারা।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

   

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, জাপানের বনিন দ্বীপপুঞ্জে ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খবর রয়টার্সের।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫০৩.২ কিমি (৩১২.৭ মাইল) গভীরতায় ছিল। তবে এবারের ভূমিকম্পের পর জাপানে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পের কারণে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেনি রয়টার্স।

;

কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে ভূমিধস: নিহত ৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে ভূমিধসে অন্তত ৪ জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কের দারোনতা এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে বলে নানগহর তালেবান অফিসের গভর্নর জানিয়েছেন।

আফগান সংবাদমাধ্যম আমু জানায়, ল্যাগম্যান প্রদেশের কাবুল-জালালাবাদের এ মহাসড়কে ভূমিধসর কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। তবে পরে মহাসড়কটি চলাচলের জন্য ফের উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

পাহাড় থেকে পাথর ধসে পড়ে কতজন আহত হয়েছেন, সে খবর তালেবান কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি।

উল্লেখ্য, কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে প্রায়ই এধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে প্রায়ই হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এ মহাসড়কটি কাবুলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম একটি রুট।

;

পর্তুগালের জাহাজের ক্রুদের মুক্তি দেবে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসে আটক করা পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজের ক্রুদের মুক্তি দেবে ইরান।

ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গত ১৩ এপ্রিল হরমুজ প্রণালী থেকে ২৫ জন ক্রুসহ এমএসসি এ্যারিস নামের জাহাজটি আটক করে।

আটকের পরে ইরান বলেছিল, জাহাজটি তার চিরশত্রু ইসরায়েলের এবং এটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রেঞ্জেলকে ফোন কলে বলেন, ‘জাহাজের ক্রুদের মুক্তির মানবিক বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত বিবরণ ছাড়াই শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা তেহরানে পর্তুগালের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি যে, ক্রু সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং প্রত্যর্পণ করা হবে।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, জাহাজটি আটকের পর ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জাহাজটির অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছিল পর্তুগাল।

গত ১৮ এপ্রিল ভারত জানিয়েছিল, জাহাজটির ১৭ জন ভারতীয় ক্রু সদস্যদের মধ্যে একজন দেশে ফিরে এসেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছিলেন, ‘তারা সুস্থ্য আছেন এবং জাহাজে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে জাহাজটি আটক করে ইরান।

ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জাহাজ আটকের ঘটনাকে ‘জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

;

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দেশটির চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে রাশিয়া। খবরটি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উপর বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ওই হামলার কারণে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং সারাদেশে ব্ল্যাকআউট এবং রেশনিং শুরু হয়েছে।

ইউক্রেনও দক্ষিণ রাশিয়ায় ৬০টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে জানা গেছে।

মস্কো জানিয়েছে, রাতারাতি ড্রোন হামলার মধ্যে এটি বড় হামলা ছিল। ওই হামলায় কিয়েভের দুটি তেল শোধনাগার এবং একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তার নিয়মিত সকালের আপডেটে জানিয়েছে, ‘রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনে আরেকটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।’

দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘শত্রুরা আবারও দেশের জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ করেছে। বিশেষ করে, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক এবং লভিভ অঞ্চলে স্থাপনায় হামলা হয়েছে। সেখানে যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়েছে।’

লভিভ এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের পশ্চিমে ইইউ সীমান্তে এবং ফ্রন্টলাইন থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, মস্কো ৩৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ২১টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

কিয়েভ জানিয়েছে, মস্কো আকাশ এবং স্থল থেকে তার আক্রমণ বাড়াচ্ছে।

;