হুথিদের হামলার পর সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল ৪২ শতাংশ কমেছে : জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলার পর গত দুই মাসে সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। এতে করে বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

রয়টার্স জানিয়েছে ইরান-সমর্থিত হুথিরা বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এই অঞ্চলে ইসরায়েল-সংযুক্ত বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজগুলোকে হামলার টার্গেট করেছে।

তাই হামলা এড়াতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন (আঙ্কটাড) প্রধান জ্যান হফম্যান বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘লোহিত সাগরে শিপিংয়ে হামলা বিশ্ববাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, ভূ-রাজনীতি এবং বিদ্যমান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে, এতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন’।

আঙ্কটাড আরও বলেছেন, ‘জাহাজগুলো লোহিত সাগরের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অফ গুড হোপের চারপাশ ঘুরে যাওয়ায় গত দুই মাসে সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট ৪২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’

উল্লেখ্য, মিশরের সুয়েজ খাল ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

হফম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি হয় সমুদ্র পথে। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র পরিবহন সত্যিই বিশ্ববাণিজ্যের লাইফলাইন’।

আঙ্কটাড বলেছেন, সুয়েজ খাল দিয়ে সাপ্তাহিক কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের সংখ্যা বছরে ৬৭ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের কন্টেইনার বাণিজ্যের ২০ শতাংশেরও বেশি সুয়েজ খাল দিয়ে যায়।

হফম্যান বলেন, ‘বৃহত্তর কন্টেইনার জাহাজগুলো সুয়েজ খাল থেকে সরে যাওয়ায় কন্টেইনার বহন ক্ষমতা বিপুল পরিমানে কমে গেছে।’

এদিকে ট্যাঙ্কার চলাচল ১৮ শতাংশ, শস্য ও কয়লা বহনকারী বাল্ক কার্গো জাহাজের ট্রানজিট ৬ শতাংশ কমেছে এবং গ্যাস পরিবহন স্থবির হয়ে পড়েছে।

সামগ্রিকভাবে, বিশ্ববাণিজ্যের ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে প্রতি বছর ২০ হাজার জাহাজ লোহিত সাগর দিয়ে যায়, যা ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে সংযোগ প্রদান করে।

পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে কারণ হুথিদের হামলার কারণে অন্যান্য বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটগুলোও বাধার সম্মুখীন হয়েছে।

দুই বছর আগে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণসাগরের মাধ্যমে ট্রানজিট মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল, যাতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে।

   

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তারা দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় অপরাধীর বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ।



;

আমিরাতে প্রথম নারী কৃষক হিসেবে জিতলেন পুরস্কার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতির পিতা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের বাড়ির উঠোনে কয়েক দশক আগে কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করেছিলেন আমনা খলিফা আল কেমজি। তিনি বাড়ির উঠোনে চাষ করতে থাকেন বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমুল; হয়ে উঠেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নারী কৃষক।

তার কৃষি প্রচেষ্টা, আবেগ এবং প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে আবুধাবির সাবেক প্রধান তাকে খামারটি উপহার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রদান করেন পুরস্কার। তাকে জৈব কৃষিতে অগ্রগামী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরিবেশগত স্থায়িত্ব রক্ষায় অবদান এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদেরও কৃষিকাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য আল কেমজিকে সম্মানিত করা হয়।

জানা যায়, আমনা খলিফা আল কেমজি কয়েক বছর ধরে টমেটো, আঙ্গুর, ডুমুর, তরমুজ, লাল মরিচসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোপণ করতেন। আল কেমজি শীতকালীন সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফসলও চাষ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী শেখ শাখবুত বলেন, ‘আমনা খলিফা আল কেমজি চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে প্রথমে কৃষি প্রকল্প শুরু করলেও আল কেমজির অধ্যবসায় এবং আবেগ তার কৃষি উদ্যোগকে প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে। তার উৎপাদন দেখে আমরা মুগ্ধ।

শেখ জায়েদ কেমজির জন্য একটি খামার নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখানে তিনি ডুমুর, আঙ্গুর এবং ৭০ টিরও বেশি জাতের শাকসবজি এবং ফলমুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন।

;

তীব্র খরায় বতসোয়ানায় শুকনো নদীতে আটকা বিপন্ন জলহস্তী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকান দেশগুলো তীব্র খরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খরা-কবলিত আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শুকনো জলাশয়ের কাদায় আটকে থাকা বিপন্ন হিপ্পোর পাল মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এএফপিকে জানিয়েছে, এল নিনোর আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মারাত্মক খরা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের ফসল হুমকির মুখে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।

উত্তর বতসোয়ানার ওকাভাঙ্গো ডেল্টার বিস্তীর্ণ জলাভূমির কাছে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে হিপ্পোর পাল আটকে যায়।

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে বন্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের (ডিডব্লিউএনপি) মুখপাত্র লেসেগো মোসেকি বলেছেন, নদী ব্যবস্থা শুকিয়ে গেছে এবং প্রাণীরা একটি আপোষহীন পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বতসোয়ানা হল বন্য অঞ্চলে বসবাসকারী হিপ্পোদের বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার আবাসস্থল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN)-এর তথ্য মতে, আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৪ হাজার হিপ্পো রয়েছে।

মোসেকি বলেন, এনগামিল্যান্ডে (উত্তর-পশ্চিম জেলা) জলহস্তী ওকাভাঙ্গো ডেল্টা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলের উপর নির্ভর করে। তারা এখনও পুলগুলিতে কতগুলি জলহস্তী মারা গেছে তা খতিয়ে দেখছে।

হিপ্পোদের চামড়া পুরু কিন্তু সংবেদনশীল ত্বক থাকে। এদের রোদে পোড়া এড়াতে তাদের নিয়মিত পানিতে গোসল করতে হয় এবং এরা সাধারণত আর্দ্র অঞ্চলে থাকে।

পানি ছাড়া তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং গ্রামের কাছে যেতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মানুষের সাথে সংঘাত এড়াতে হিপ্পোদের সংরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এল নিনো হল একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপ বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে, যা বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্যত্র ভারী বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত করে।

;

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কম্বোডিয়ার পশ্চিম সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।

ফেসবুকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সূত্র- এনডিটিভি

;