মার্কিন সেনা হত্যার প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বলেছেন, ড্রোন হামলায় সপ্তাহান্তে জর্ডানে তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ফ্লোরিডায় তহবিল সংগ্রহের জন্য হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের প্রয়োজন আছে।’
এদিকে, জর্ডানের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী।
বাইডেন অবশ্য মার্কিন পদক্ষেপটি ঠিক কী হতে পারে, তার বিশদ বিবরণ দেননি। তবে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ‘খুব ফলপ্রসূ প্রতিক্রিয়া’ জানানোরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অঞ্চলে শত্রুদের গুলিতে মার্কিন সেনারা প্রথমবারের মতো ওই জর্ডানে ড্রোন হামলায় নিহত হন।
যদিও ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
বাইডেন মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘আমি ইরানকে এই অর্থে দায়ী করি যে, তারা তাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে যারা এটি করেছে।’
উত্তর-পূর্ব জর্ডানে টাওয়ার ২২ নামে পরিচিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মতে, প্রায় ৩৫০ মার্কিন সেনা ওই ঘাঁটিতে অবস্থান করছে, যারা ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করতে জোটকে সমর্থন করছে।
একটি মার্কিন ড্রোন মিশন থেকে ঘাঁটিতে ফিরে আসার সময় শত্রু ড্রোনটি মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা এড়াতে তখন ঘাঁটির এয়ার ডিফেন্স অটো-রেসপন্স ফিচারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এর কারণে সেনাদের জন্য কোন সতর্কতা ছিল না। তারা তাদের কোয়ার্টারে ঘুমিয়ে ছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান দ্বারা প্রশিক্ষিত মিলিশিয়াদের দ্বারা আক্রমণ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ইরান-মিত্র ঘাঁটি এবং কমান্ডারদের উপর প্রতিশোধমূলক হামলাসহ হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ইরাক বা সিরিয়ায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সিনিয়র কমান্ডারদেরও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।