‘থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত পাঠিয়েছে’



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন থাইল্যান্ডে। এর আগে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালেও এই দেশে নিযুক্ত ছিলেন কর্মকর্তা হিসেবে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ব্যাংককের একটি হোটেলে বার্তা'র সঙ্গে থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। আলোচনার প্রথম পর্বে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক।

দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক দিক রয়েছে। এর অর্থনৈতিক দিক রয়েছে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের একটি দিকও রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পর্যায়ের।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং এই স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্তটি তাদের কেবিনেটে উত্থাপন করে ১৯৭২ সালে আমাদের জানানো হয়। এরপর কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয় ১৯৭২ সালের অক্টোবরে। এই নোট বিনিময় হয়, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত থাই এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে। এরপর দীর্ঘ সময় এই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় আমরা হয়ত অনেকেই জানি না বা ভুলে যাই, সেটা হচ্ছে থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, থাইল্যান্ডই প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে এই দেশ থেকে ফেরত পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে ওই হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এবং এই অপরাধী ফেরত পাঠানো যে সম্ভব, সেটি থাইল্যান্ড সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। তবে এখন আমরা অনেক দেশেই দেখতে পাচ্ছি, দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার পরেও দণ্ডিত অপরাধীদের ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না।

ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর বজলুল হুদাকে ফেরত পাঠানো হয় তখন এখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, আকরামুল কাদের। আমি যখন ১৯৯০ সালের দিকে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করি স্যারের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল।

বিষয়টা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তখন থাইল্যান্ডের যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি ছিলেন একজন মানবাধিকারকর্মী, ড. সুরিন পেটসোয়ান। পরবর্তীতে তিনি আসিয়ানের মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি নিজে যেহেতু মানবাধিকার নিয়ে সচেতন ছিলেন এবং চর্চা করতেন, তাই, তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল সবদিক বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরত পাঠানো। যদিও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি ছিল না তারপরও থাই কেবিনেট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। চুক্তি ছাড়াই রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছিল এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যে, চুক্তি থাকা বা না থাকার চেয়েও রাজনৈতিক সমঝোতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭২ সালে থাইল্যান্ড যখন বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তখন তার ভিত্তি ছিল এই রাষ্ট্রটি (বাংলাদেশ) এশিয়ার পূর্বাংশে অবস্থিত এবং এদের সঙ্গে থাইদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে।

এখন থাইল্যান্ড বছরে বাংলাদেশে দেড় বিলিয়ন ডলার রফতানি করে থাকে। আমরা এদিক থেকে একটু পিছিয়ে। আমাদের রফতানি ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে।

দুই দেশের মধ্যে যেসব পণ্য বিনিময় হয়, সেগুলোর উল্লেখ করেন তিনি। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্য, ফল, বিভিন্ন ধরনের বিয়ের সাজসরঞ্জাম, ফুল রফতানি করা হয়। এছাড়াও কিছু মেশিনারিজ যায় আর বাংলাদেশ থেকে ইদানিং তৈরি পোশাক আসছে। এছাড়াও পাটজাতপণ্য, কিছু মাছ আসে, যেগুলো আমাদের দেশের সামুদ্রিক মাছ কিন্তু আমরা খাই না। সেগুলো কিছু ব্যবসায়ী এদেশে নিয়ে আসেন। এখানে সেগুলো প্রসেস করে আবার বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়।

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির আরো সুযোগ রয়েছে। এই দেশে আমি ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালেও কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, তৎকালীন সময়ে থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

তিনি তখন লক্ষ করেন, পুরোনো ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মিত রফতানি বাজারের বাইরে যেতে চান না। তিনি তরুণ ব্যবসায়ী, যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর, তাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বাজার বিস্তৃত করার অনুরোধ করেন। সেই সময়েই একটি বড় অংশ বাংলাদেশে তাদের ব্যবসাকে প্রসার করেন। একইভাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেরও এখন এগিয়ে আসতে হবে। যারা ইউরোপ আমেরিকায় ক্রেতা পেয়েছেন, তারা হয়ত এখনি এখানে আসতে চাইবে না তবে এটাও মানতে হবে, নতুন দেশে ব্যবসা প্রসার করতে কিছুটা সময় লাগবে এবং কাজ করতে হবে অনেক।

বিশ্ববাজারের দুটি চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। একটি হচ্ছে, মার্কেটে এসে ফেরি করে পণ্য বিক্রি করা। আরেকটি হচ্ছে, ক্রেতা, মার্কেট খুঁজে আমার দেশে পণ্য কিনতে যাওয়া। আমরা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভালো করলেও এখনো ফেরি করে আমাদের পণ্যকে বাইরে নিয়ে যেতে পারিনি উল্লেখযোগ্যভাবে।

   

আদালতের বিরুদ্ধে হুমকি বন্ধের আহ্বান আইসিসির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের ভয় দেখানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)। আইসিসির প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, এই ধরনের হুমকি বিশ্বের স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।

আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খানের হেগভিত্তিক কার্যালয় শুক্রবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে বলেছে, তার কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো বা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার সকল প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের বিপরীতে আইসিসির পরিণতি সম্পর্কে ইসরায়েল এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করার পরে এই বিবৃতি জারি করা হলো।

করিম খানের কার্যালয় বলেছে, রোম সনদের অধীন এ আদালতের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বৈধ ক্ষমতা রয়েছে। এই কর্তৃত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করতে চায় এ দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়, তবে যখন কারও পক্ষ থেকে আদালত বা তার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এ স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়। আদালতের উচিত তার বৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করা, নিজ এখতিয়ারের অধীন দায়ের করা মামলা বা তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আদালত আরও বলেন, রোম সনদে আইসিসির কাঠামো ও এখতিয়ারের ক্ষেত্র উল্লেখ করা আছে। সেই সঙ্গে আদালত ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের তাণ্ডব চলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন আইসিসি।

যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ব্যক্তিবিশেষকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন আইসিসি। গত ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু করা ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় অভিযানে এরই মধ্যে সেখানে ৩৫ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বিচার বোমা হামলায় উপত্যকাটির বড় অংশ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

এ অবস্থায় ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় দেশটি ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার নেতানিয়াহু আইসিসিকে তিরস্কার করে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েল আশা করে মুক্তবিশ্বের নেতারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অন্তর্নিহিত অধিকারের উপর আইসিসির বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। আমরা আশা করি তারা এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য তাদের নিষ্পত্তির সব উপায় ব্যবহার করবে।’

বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতাও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হস্তক্ষেপ করতে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির যেকোনো পদক্ষেপকে ব্যর্থ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর জন ফেটারম্যান চলতি সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পথ অনুসরণ করা আইসিসির বিচারিক এবং নৈতিক অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি করবে।’

;

যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কায়রো পৌঁছেছেন হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্ভাব্য গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জোরদার আলোচনার জন্য শনিবার (৪ মে) কায়রোতে পৌঁছেছেন হামাসের নেতারা। হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিআইএ পরিচালক ইতিমধ্যেই কায়রোতে উপস্থিত হয়েছেন।

কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিশরের রাষ্ট্রীয় নিউজ টিভি চ্যানেল আল-কাহেরা।

মিশরের একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘আজকের ফলাফল ভিন্ন হবে। আমরা অনেক পয়েন্টে মতৈক্যে পৌঁছেছি। মাত্র কয়েকটি পয়েন্ট বাকি আছে।’

এদিকে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা তার সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এবার আশা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু একটি চুক্তি হবে কিনা তা নির্ভর করবে ইসরায়েলের সদিচ্ছার উপর।’

হামাস প্রতিনিধিদল কাতারে ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলনের সদরদপ্তর থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনও।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা শনিবার বলেছেন, ‘ইসরায়েল কোনো অবস্থাতেই আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার চুক্তির অংশ হিসাবে যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হবে না।’

হামাস শুক্রবার বলেছে, একটি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব পর্যালোচনার পরে এটি একটি ইতিবাচক মনোভাব কায়রোতে আসবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ২০ থেকে ৩৩ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার এবং এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ স্থগিত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মিশরীয় সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রো পৌঁছেছেন। তিনি আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় জড়িত ছিলেন এবং ওয়াশিংটন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এবার অগ্রগতি হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতে, রাফাহতে একটি বড় ইসরায়েলি অভিযান আরও অনেক জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

কিন্তু ইসরায়েল বলেছে, তারা শেষ পর্যন্ত রাফাহ দখল করা থেকে বিরত হবে না।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ৪টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কো-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃক ইউক্রেনকে সম্প্রতি সরবরাহ করা চারটি এটিএসিএমএস বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার (৪ মে) ভূপাতিত করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী শরিবারের হামলাকে প্রতিহত করেছে। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষে পড়ে কোনও ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করে যে তারা এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। এগুলো তাদের ফ্রন্টলাইনের বাইরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম করবে।

ইউক্রেন গত অক্টোবরে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। কিন্তু, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সম্প্রতি সরবরাহ করা সংস্করণগুলোর ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম।

রাশিয়া অবশ্য জোর দিয়ে বলেছে যে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলমান সংঘাতের ফলাফল পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে না।

এদিকে, ইউক্রেনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘ক্লোরোপিকরিন’ ব্যবহার করছে রাশিয়া বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি দিয়ে হামলা ‘বিচ্ছিন্ন’ কোনো ঘটনা নয়। রাশিয়া হরহামেশাই তা ব্যবহার করছে।

তবে ক্রেমলিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) বাধ্যবাধকতা বজায় রেখেছে।

সিডব্লিউসি অনুযায়ী, কোনো যুদ্ধে ক্লোরোপিকরিনের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) বলছে, তেল চিটচিটে এই রাসায়নিকটি ব্যবহারের ফলে মানুষের ফুসফুস, চোখ ও ত্বকে প্রদাহ হয়। এতে বমি, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনের সেনাদের পিছু হটাতে ক্লোরোপিকরিন ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এর আগে রাশিয়াকে সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২২ সালের মার্চে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন, তাহলে এর জন্য তাকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।

এরপরও ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে মস্কো হামলা চালিয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত রাসায়নিক দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যালরি স্টেওয়ার্ট। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় রাসায়নিক হামলার শিকার হওয়ার কথা বলেছেন ইউক্রেনের সেনারাও।

;

তিনটি দল ছাড়া সবার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী ইমরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে তার দলের ম্যান্ডেট চুরি করেছেন এমন কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে প্রস্তুত নন।

ডন জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৩ মে) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, ৭১ বছর বয়সি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই প্রতিষ্ঠাতা জোর দিয়ে বলেন যে, ‘আলোচনা শুধু তাদের সঙ্গে হওয়া উচিত যারা পিটিআইয়ের বড় প্রতিপক্ষ ছিল।’

জিও নিউজ জানিয়েছে, তিনি ১৮ মাস ধরে বলে আসছেন যে, তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত। ইমরান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তার দল তিনটি দল ছাড়া সবার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।

পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরীফকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ ছেড়ে যেতে চায় বা কারাবাস এড়াতে চায়, সে চুক্তি করতে পারে।’

ইমরান আলোচনার জন্য খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর, জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং সিনেটে বিরোধীদলীয় নেতা শিবলি ফারাজের নামও ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এই তিনটি নাম আলোচনার জন্য প্রস্তাব করেছি, কোনো চুক্তির জন্য নয়।’

ইমরান আরও বলেছেন, ‘চুরি করা ম্যান্ডেট ফেরত দিয়ে পিটিআইয়ের নিরপরাধ কারাবন্দী কর্মীদের মুক্তি দেওয়া হলেই কেবল পিএমএল-এনসহ বাকি দুই দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।’

কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তোশাখানা উপহার নিয়ে আমার বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলা করতে যাচ্ছে।’

;