যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বেড়েছে, যেসব প্রভাব পড়বে অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) একটি চূড়ান্ত রীতি ঘোষণা করেছে, যাতে বিভিন্ন ধরনের অভিবাসন আবেদনের জন্য উল্লেখযোগ্য হারে ফি বাড়ানো হচ্ছে।

২০১৬ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় অংকের ফি বাড়লো। আবেদন ভেদে যা কয়েক শতাংশ থেকে শুরু করে বিনিয়োগভিত্তিক গ্রিন কার্ডের আবেদন ফি ২০০ শতাংশেরও বেশি বাড়ছে।

অভিবাসন সংস্থাটির মতে, ফি বাড়ানো মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত খরচের একটি বড় অংশ বের করে আনা সম্ভব হবে এবং নতুন আবেদনগুলো যথাসময়ে প্রক্রিয়াকরণে সহায়ক হবে।

ভিসা ফি বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন কেউ তার স্ত্রী কিংবা স্বামীকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে চাইলে তা ব্যয়বহুল হবে। পাশাপাশি এদেশে অবস্থানকালে দ্বিতীয় ধাপে কেউ স্থায়ী বাসিন্দার (গ্রিন কার্ড) মর্যাদায় যেতে চাইলে উল্লেখযোগ্য হারে ফি গুনতে হবে।

মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জনের আবেদনের ক্ষেত্রেও ফি বাড়ানো হয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য এইচ-১বি ভিসা বা এল ভিসাও (আন্তঃ কোম্পানি ট্রান্সফার) ব্যয়বহুল হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় চাপ আসবে যারা বিনিয়োগভিত্তিক গ্রিন কার্ড বা ইবি-৫ ভিসার আবেদন করতে চান তাদের ওপর।

৩১ জানুয়ারি এই ভিসা ফি বাড়ানোর নোটিশ ফেডারেল রেজিস্ট্রিতে প্রকাশ করা হয়। যা আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে।

আই-১৩০ ফর্মের মাধ্যমে যারা পারিবারিক পুনর্মিলন বা বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে ফি ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৭৫ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। কোনো মার্কিন নাগরিক কিংবা গ্রিন কার্ডধারীই তার আত্নীয়কে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে ও গ্রিন কার্ড পাইয়ে দিতে এই আবেদন করেন। পরবর্তীতে যদি ওই আত্মীয় স্ট্যাটাস সামঞ্জস্য করতে অর্থাৎ গ্রিন কার্ড পেতে আবেদন করেন তখন তাকে গুনতে হবে ১৪৪০ মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে ভিসা ফি বাড়ানো হয়েছে ১৮ শতাংশ।

এই প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কভিত্তিক অভিবাসন অ্যাটর্নি সাইরাস ডি মেহতাকে উদ্ধৃত করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। তিনি বলেছেন, ‘যদি ইউএসসিআইএস মামলাগুলো দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত না করে, তাহলে ফি বাড়ানো অন্যায়। কোনো ব্যক্তি তার দেশে থাকা পিতা-মাতা, স্ত্রী কিংবা নাবালক সন্তানকে যুক্তরাষ্ট্রে নিতে আবেদন করলে তার প্রক্রিয়াকরণে গড়ে ১৪ মাস সময় নেওয়া ইউএসসিআইএসের জন্য অনুচিত।’

মেহতা এবং অন্যান্য অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফি বাড়ানোর পর আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কতটা ত্বরান্বিত হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আপনি যদি আপনার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান তাহলে ফর্ম আই-১২৯এফ-এর জন্য বর্ধিত ফি গুনতে হবে। যা এখন ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৩৫ ডলার থেকে ৬৭৫ মার্কিন ডলার করা হয়েছে।

ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) অবশ্য মনে করে না আই-১২৯ ফর্মের মাধ্যমে আবেদন ফি বাড়িয়ে দেশের বাইরে বিয়েকে উৎসাহিত করা যাবে। বরং কোনো যুগল যদি বাইরে বিয়ে করে তাহলে আই-১২৯ এর পরিবর্তে তারা আই-১৩০ আবেদনের মধ্য দিয়ে স্ত্রী কিংবা স্বামীকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আসতে চাইবে। চূড়ান্ত রীতিতে আই-১৩০'র ক্ষেত্রে ফি বেড়ে ৬২৫ ডলার হচ্ছে আর পেপার ফাইলিংয়ের ক্ষেত্র তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৭৫ ডলার। সুতরাং দেশের বাইরে বিয়ে, এমন কোনো সাশ্রয় নিশ্চিত করবে না।

ন্যাচারালাইজেশনের সিদ্ধান্তের শুনানিসহ আমেরিকান নাগরিক হওয়ার আবেদনও এখন থেকে আরও ব্যয়বহুল হবে। তবে বায়োমেট্রিক সার্ভিসের মাধ্যমে ন্যাচারালাইজেশনের অনলাইন আবেদন ফি সামান্য কমিয়ে ৭২৫ ডলার থেকে ৭১০ ডলার করা হচ্ছে।

বিনিয়োগ-সম্পর্কিত গ্রিন কার্ড আবেদনের ফি পরিবর্তন:

ইমিগ্রেশনের ফি বাড়ানোর সবচেয়ে বড় অংকটি ধার্য করা হচ্ছে ইবি-৫ এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য। এটি একটি বিনিয়োগ-সম্পর্কিত গ্রিন কার্ড প্রোগ্রাম। এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের আই-৫২৬ এ প্রাথমিক পিটিশনে ১১,১৬০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। এক্ষেত্রে ফি বেড়েছে ২০৪ শতাংশ। পরে স্থায়ী অভিবাসনে যেতে আই-৮২৯ ভিসা আবেদনে তাদের গুনতে হবে ৯৫৩৫ ডলার। যা আগের তুলনায় বাড়ছে ১৫৪ শতাংশ।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক আবেদন ফাইল করার জন্য অপেক্ষা না করে ১ এপ্রিল থেকে এই ফি বৃদ্ধি কার্যকর হওয়ার আগেই আবেদন করা উচিত।

কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ফি পরিবর্তন:

এইচ-১বি ক্যাপ ভিসার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ানো হচ্ছে ২০০০ শতাংশ। এইচ১-বি'র ই-রেজিস্ট্রশেন ১০ ডলার জমা দিতে হয়, যা বাড়িয়ে ২১৫ ডলার কথা হচ্ছে। তবে, এই উচ্চ হার এই বছরের এইচ-১বি রেজিস্ট্রেশনের জন্য কার্যকর হবে না। এই ভিসা আবেদন আগামী ৬ মার্চ শুরু হয়ে ২২ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

তবে এইচ১-বি আবেদনের ফি অবশ্যই বাড়বে। এই আবেদন শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। যেখানে আবেদন ফি বর্তমান ৪৬০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৮০ ডলার করা হচ্ছে। আর এল ওয়ান আবেদন (আন্তঃ কোম্পানি ট্রান্সফার) ফি ৪৬০ ডলার থেকে বেড়ে ১৩৮৫ ডলার করা হচ্ছে। তবে বিশেষ কিছু ছোট কোম্পানি ও নন প্রফিটের ক্ষেত্রে এই ফি অপেক্ষাকৃত কম হবে।

চূড়ান্ত রীতিতে অ্যাসাইলাম প্রোগ্রামের আওতায় আবেদনে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার গুনতে হবে। প্রতিটি আই-১২৯ ও আই-১৪০ ফর্মের ক্ষেত্রে এই ফি ধার্য করা হয়েছে। ননপ্রফিট আবেদনকারীরা নতুন এই ফি রেয়াদ পাবেন আর অপেক্ষাকৃত ছোট কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ফি ধরা হবে ৩০০ ডলার।

ইউএসসিআইএস তার বিবৃতিতে বলেছে, ফি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সংস্থাটির বছরে ৭৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ তুলে আনতে পারবে। আর সক্ষমতা বাড়াতে বাজেট বরাদ্দ করতে পারবে। এই বর্ধিত ফি কার্যকরের মধ্য দিয়ে নতুন রাজস্ব আয় হবে তা দিয়ে ইউএসসিআইএস উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগে গ্রাহক সেবার মান বাড়াবে এবং আটকে থাকা আবেদনগুলো দ্রুত ছেড়ে দিতে পারবে।

   

‘এ সপ্তাহে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিসি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ পরিচালনা ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা।

সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা প্রসঙ্গে আইসিসির কাছে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র- দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেফতার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেফতার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

;

আফগানিস্তানে শিয়া মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে অজানা বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন। তবে এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেননি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলার আন্দিশা এলাকার ইমাম জামান মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা ও আফগানিস্তানভিত্তিক আমু টিভি এ খবর জানায়।

আলজাজিরা ও আমুটিভি জানিয়েছে, সোমবার রাত নয়টার দিকে শিয়া মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় অজানা বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন।

কাবুলের ইরানের দূতাবাস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয়, আইএস (ইসলামিক স্টেট) এ হামলার জন্য দায়ী। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর অনেকবারই আইএস (ইসলামিক স্টেট) শিয়াদের মসজিদে হামলা করেছে। তালেবান সরকার যদিও বলে এসেছে, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা একটা চোখে পড়েনি বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।

;

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আশা করা হচ্ছে, আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন বরেল। 

সম্মেলনের অবসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।

গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।

এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণার শামিল।

;

ইসরায়েল মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও সামরিক সমর্থন পাবে: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সেনাদের ৫টি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ঘটেছে গাজায় চলমান যুদ্ধের আগে গাজা ভূখণ্ডের বাইরে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও মার্কিন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই সমস্ত ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল।

ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে বলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে। এর অর্থ হচ্ছে- সমস্ত ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতি বছর ইসরাইলকে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

তবে বিবিসি বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যে কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এই ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে।

তিনি বলেছেন, এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি; তারা সেই ইউনিটের সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।



;