কানাডায় শিখ নেতা নিজ্জরের সহযোগীর বাড়িতে হামলা
খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জরের আলোচিত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যকার বিবাদ চলমান থাকতেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিপক্ষে। তার নাম সিমরানজিৎ সিং। সারে আরসিএমপির মেজর ক্রাইম সেকশন তদন্ত পরিচালনা করছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডার সিবিসি নিউজ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ সিমরানজিতের বাড়ির হামলা হয়। গুলি চলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। এ বিষয়ে কানাডার এক পুলিশ আধিকারিক সর্বজিৎ সংঘ বলেন, ‘সিমরানজিতের বাড়িতে অনেকগুলো বুলেটের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির সামনে থাকা একটি গাড়ি খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুলিতে। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ১৮ জুন বৃটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে একটি গুরুদ্বারের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় খালিস্তানপন্থী ব্যক্তিত্ব হরদীপ সিং নিজ্জরকে। এবার নিজ্জরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিমরানজিৎ সিংয়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। সিমরানজিতের বাড়ির সামনে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল,কর্মকর্তারা এখনও এই ঘটনার উদ্দেশ্য নির্ধারণের জন্য কাজ করছেন। খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই এই হামলার পিছনে ভারতকে দায়ী করেছে কারণ সিমরানজিত ২৬ জানুয়ারি ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে একটি বিক্ষোভ সংগঠিত করতে সহায়তা করেছিলেন।
বৃটিশ কলম্বিয়া গুরুদ্বার কাউন্সিলের মুখপাত্র এবং কানাডার একজন বিশিষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী মনিন্দর সিং সিবিসি নিউজ আউটলেটকে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে এটা যেন ভারতের কোনও রাজ্য। তাদের লোকেরা এখানকার লোকেদের ভয় দেখানোর দায়িত্ব পালন করছে। নিজ্জরের সঙ্গে সিমরানজিতের যোগাযোগ থাকা এই হামলার অন্যতম কারণ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের সাথে সিমরানজিত সিংয়ের সংযোগ এই হামলার একটি কারণ হতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সারে এবং আশেপাশের শহরগুলো সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সহিংসতা বেড়েছে। যার মধ্যে ২৭ ডিসেম্বর লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের সভাপতি সতীশ কুমারের ছেলের বাসভবনে গুলি চালানো হয় ।