ভারতের আসন্ন নির্বাচন: জোট নিয়ে জট পাকছে, খুলছে কই?



ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়, কলকাতা
ভারতের আসন্ন নির্বাচন: জোট নিয়ে জট পাকছে, খুলছে কই?

ভারতের আসন্ন নির্বাচন: জোট নিয়ে জট পাকছে, খুলছে কই?

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভারতে আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ যে কোন মুহূর্তে ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বা আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলগুলোর প্রস্তাবিত জোট নিয়ে জট খোলার কোন লক্ষণ তো দেখা যাচ্ছে না, উল্টো জট যেন ক্রমশ পাকিয়েই যাচ্ছে। একদিকে রাম মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বিজেপি যত শক্তিশালী হচ্ছে, বিরোধীদলগুলোর প্রস্তাবিত জোট যেন ততই দুর্বল হয়ে পড়ছে। যেন ইমারত গড়ে তোলার আগেই ভিত্তি প্রস্তরই ভেঙে পড়ছে। 

বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার তার দলবদল তকমার প্রতি সুবিচার করেই যেন এই নিয়ে নবম বার দল বদল করে আবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন এবং নিজের মুখ্যমন্ত্রীর গদি বাঁচিয়ে রেখেছেন। জোটের আরেক শরিক ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব এবং তার পুত্র তেজস্বী যাদবের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাঁড়াশি আক্রমণ আরও জোরদার হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপরও তদন্তকারীর সংস্থার খাড়া ঝুলছে। এসব কিছু নিঃসন্দেহে জোটকে দুর্বল করে তুলবে।

কিন্তু এসবের থেকেই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় একতরফাভাবেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা এবং এ রাজ্যে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে একলা চলো নীতির ঘোষণা করা। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জনসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানো শুরু করেছেন। তাকে এমন কথাও বলতে শোনা গেছে যে, এবারে নির্বাচনে কংগ্রেস সারাদেশে চল্লিশটির বেশি আসনও পাবে না। এসব দেখে অনেকেই বলতে শোনা যাচ্ছে জোটের আর তাহলে বাকি রইল কী?

জোট গঠনের প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কিন্তু জোটের স্বপক্ষে সবচেয়ে জোরদার সওয়াল করেছিলেন।  জোটের প্রথম দিককার বৈঠকে  কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন  খারগের নাম জোটের প্রধান মুখ বা জোটের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। কেউ বারে বারে বলে আসছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রাখা ছাড়া বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগ্রণী ভূমিকা ছাড়া জোটের সাফল্য সম্ভব নয়। এবং দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ ও প্রতিদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি গাইছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের  লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী যেভাবে ধারাবাহিকভাবে মমতা এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে আসছিলেন তার নিন্দা এবং তা বন্ধ করতে বলে রাহুল গান্ধীও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন।

এত কিছু সত্বেও একতরফাভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট ভেঙে বেরিয়ে এলেন কেন? সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এ রাজ্যে কংগ্রেসকে দুটি থেকে তিনটি আসন ছেড়ে দিতে রাজি ছিল কিন্তু কংগ্রেস নাকি আরও দুই থেকে তিনটি আসনের দাবি জানাচ্ছিল। তাতেই কি ভাঙল এই জোট? রাজনীতি সচেতন মানুষই জানেন বা স্বীকার করবেন যে, জোট-ধর্মে এই ধরনের দাবি পাল্টা দাবি যাকে ইংরেজিতে বলে বার্গেনিং বা পলিটিক্যাল বার্গেনিং...তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। ধরা-ছাড়ার মধ্য দিয়ে জোট প্রতিষ্ঠিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে অবহিত। তাই তার বোধহয় আরও একটু উদারতা বা ঔদার্য দেখানো সমীচীন হত!

অনেকেই এমন কথা বলছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই বিজেপিকে সরানোর ব্যাপারে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হতেন তাহলে এই উদারতা তিনি নিশ্চয়ই দেখাতেন। এ নিয়ে কোন সন্দেহই নেই যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একতরফাভাবে মমতা-বিজেপি আঁতাত নিয়ে গুঞ্জন রাজনীতির অলিতে গলিতে আরও অনেক জোরদার হবে। অন্যান্য ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে শাসকদলের প্রধানদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যতটা সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গে কি তারা ততটাই? নাকি শুধু বারেবারে সমন দেওয়া এবং ডেকে পাঠানোতেই তাদের দায়িত্ব খালাস হয়ে যায়? এমন প্রশ্ন বা সংশয় কিন্তু বিজেপির অন্দরমহলের একটা অংশ থেকেও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শুধু কয়েকটা আসনের জন্য বা মমতা বিজেপি আঁতাতের জন্যেই  জন্যই ভাঙল এই প্রস্তাবিত জোট যা নিয়ে অনেকেরই অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল?

তিনি জোট ছেড়ে বেরোলে যে এই প্রশ্নগুলো এই সংশয়গুলো দানা বাঁধবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ কি জানতেন না বা বোঝেননি? এ কথা মেনে নেওয়া কঠিন। ৩৪ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক অপেক্ষার পর, এবং লড়াইয়ের পরে, বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জাতীয় রাজনীতিতে অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চান সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই যে মুহূর্তে তিনি খারগের হাতে বিরোধী জোটের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন, সেদিনই অনেকে ইঙ্গিত পেয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জোটের ব্যাপারে ততটা আন্তরিক বা সিরিয়াস নন। যেদিন থেকে তিনি নিতীশ কুমারের দলবদলের ইঙ্গিত বা খবর পান, সেদিন থেকেই তিনি এই জোটের নিষ্ফলতার বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যান।

পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারটা আলাদা হলেও, রামমন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরে দেশ থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সরানো যে ক্রমশ অলীক স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে সেটা বোধহয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন এই পরিস্থিতিতে ‘এলার্জি’ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোটা মোটেই উইন-উইন থাকছে না। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরাধরি হলে কংগ্রেস বরং এই রাজ্যে নিজেদের শক্তি কিছুটা বাড়িয়ে উপকৃত হতে পারে কিন্তু মমতার এর থেকে খুব একটা কিছু পাওয়ার নেই। আর সারাদেশে যেখানে জোটের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে, সেখানে তার পক্ষে রাজ্যের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখাই রাজনৈতিকভাবে সমীচীন এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব কাছ থেকে দেখা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন যে, মমতা এখন রাজনৈতিকভাবে অনেক পরিণত, পরিপক্ব এবং তার মতো আমজনতা বা সাধারণ ভোটারের মন বুঝতে পারার ক্ষমতা খুব কম রাজনীতিবিদেরই আছে। তিনি নিরন্তর সরাসরি আমজনতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। আর তাই তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের ফিডব্যাক-নির্ভর।

তিনি যদি তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অনড় থেকে নিজের রাজ্য থেকে আরও বেশি সংখ্যক সাংসদ নিয়ে গিয়ে বিরোধীদের মধ্যে একক বৃহত্তম দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন আর বিজেপিবিরোধী দল-জোটগুলো যদি কোনো কারণে ভালো ফল করতে পারে তাহলে বিরোধীদের মুখ হিসেবে তার উঠে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল থাকবে। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হয়, ‘ইটস এ গেম অফ গ্লোরিয়াস আনসারটেইনটিস্। নাথিং ক্যান বি প্রেডিক্টেড আন্টিল দ্য লাস্ট বল ইস বোল্ড।’ শুধু শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকতে চান এবং সসম্মানে টিকে থাকতে চান।

   

ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত সৌদির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই লক্ষ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছে।

ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরব যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে সৌদিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সৌদি আরব শর্ত দিয়েছে যদি ইসরায়েল তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে-পশ্চিমতীর এবং গাজাকে নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করতে হবে, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করে দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা একটি কলামে কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান লিখেছেন, ‘ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপন হবে যদি শুধুমাত্র সৌদির শর্ত মেনে নেওয়া হয়। তাদের শর্ত হলো- গাজা থেকে সরে যেতে হবে, বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।’

তবে এই কলামিস্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখনই সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো কোনো সরকার ইসরায়েলে আসবে তখনই চুক্তিটি হবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও তারা তাদের সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম এ্যাকর্ডেও যোগ দেয়নি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। 

;

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (০৩ মে) এ তথ্য জানায়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় আরও বাড়তে পারে। ’

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধ্বস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।

;

হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয় গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার নাগরিক এবং সেখানে বসবাসরত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। 

শুক্রবার (০৩ মে) কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এর একটি দল কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হল-করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার তিন জনকে গ্রেফতারের পর আরসিএমপির সুপারিন্টেডেন্ট মনদীপ মুকার বলেন, ‘ভারতের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

আরসিএমপির কমিশনার ডেভিড টেবৌল বলেছেন, ‘তদন্ত এখনই শেষে হচ্ছে না; কারণ আমাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও লোকজন যুক্ত। আমরা প্রত্যেককে গ্রেফতার করার লক্ষ্য নিয়েছি।’

এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে রাজধানী অটোয়ায় ভারতের প্রধান দূতাবাস কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু কোনো মুখপাত্র ও কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভার শহরের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর  কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে সরাসরি ভারতকে দায়ী করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন।

নিজ্জর হত্যার ঘটনা কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য যে তীব্র অবমাননাকর, নিজ বক্তব্যে তা উল্লেখও করেছিলেন তিনি।ভারত অবশ্য এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মনগড়া’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে কানাডা।

এ ঘটনার পর ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে দেখা দেয়। 

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভারতীয় শিখদের একাংশ। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে সেই আন্দোলন দমনে সফল হয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন-এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। 

তবে ভারতে থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে গিয়ে স্থায়ী হওয়া খালিস্তানপন্থি শিখরা এই আন্দোলন জারি রেখেছেন। হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের কানাডা শাখার সংগঠক এবং আধ্যাত্মিক নেতা। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতা হওয়ার কারণে নয়াদিল্লির একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। 

;

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;