ভারতীয়দের মিয়ানমার ছাড়ার নির্দেশ মোদি সরকারের
ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। সশস্ত্র বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে দেশটির এই রাজ্য। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন সেখানকার মানুষ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন অবস্থায় দেশের নাগরিকদের রাখাইনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, ভারতের নাগরিকদের রাখাইন ছাড়ার জন্যও এক বিবৃতিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ল্যান্ডলাইনসহ পুরো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবের কারণে চাহিদা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের রাখাইনে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।’
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘যেসব ভারতীয় নাগরিক ইতিমধ্যেই রাখাইনে রয়েছেন, তাদের অবিলম্বে ওই রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠার আগেই দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এবং মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।
নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নয়া জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
তারপর থেকেই ভারতের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব মণিপুর, মিজোরামের নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও পড়েছে এবং যা ভারতের কাছে অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তার বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যের রামরি শহরের রামরি বিমান ঘাঁটি থেকেই হামলার ছক কষা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মিয়ানয়ারের সাধারণ মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে এক প্রদেশ থেকে আর এক প্রদেশ ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা।