দুর্বল বাহিনীকে শক্তিশালী করতে মিলিশিয়া গঠন জান্তার
বিদ্রোহীদের একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়া বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেছে দেশটির জান্তা সরকার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ন্যুন্ট উইন সোয়ে ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সো মিনের উপস্থিতিতে ইয়াঙ্গুন, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চল এবং মোন রাজ্যে জনগণের মিলিশিয়া গঠন করে জান্তা সরকার। এসময় মিলিশিয়াদের হাতে অস্ত্র, নগদ অর্থ ও খাবার দেওয়া হয়।
সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিরাপত্তা দিতে আঞ্চলিক কমান্ডারের অধীনে মিলিশিয়ারা কাজ করবে।
এদিকে জান্তা সরকার সারা দেশে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের ও দুটি সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থী, আইয়ারওয়াদি অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রভাষক ও ছাত্রদের ডাকা হয়েছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীরা। এতে গত কয়েকদিনে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএও) হামলায় শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
গত চারদিনে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যসহ ৩২৮ মিয়ানমার নাগরিক প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে তার সফরের সময় লাশিওতে মিলিশিয়াদের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু অপারেশন ১০২৭ শুরু হওয়ার পর শান শহরসহ শত শত সামরিক ঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।