ভোটের দিন পাকিস্তানে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের দিন দেশব্যাপী মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা রন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পদক্ষেপকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে অভিহিত করেছে একটি ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সশস্ত্র হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার জন্য এই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্যাঙ্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার বন্দুকধারীরা একটি টহলগাড়িতে গুলি ছুড়লে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে প্রার্থীদের অফিসের বাইরে পৃথক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল (আইএসআইএস)। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এদিকে, গ্লোবাল ইন্টারনেট ওয়াচডগ নেটব্লকস জানিয়েছে, 'ডেটা নিশ্চিত করেছে যে, পাকিস্তানে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোতে একটি ব্যাঘাত ঘটেছে। এ কারণে ব্যবহারকারীর ব্যাপক বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন।’
নেটব্লকসের ডিরেক্টর আল্প টোকার এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, ‘পাকিস্তানে চলমান নির্বাচনের দিন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট তীব্রতা মাত্রার দিক থেকে যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা অগণতান্ত্রিক। এটি স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজ সীমিত করেছে এবং ভোট প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ঘটাতে সুবিধা করে দিয়েছে।’
অন্যদিকে, সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করতে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে কিছু স্থল সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। গত বছর ইমরানের সমর্থকরা তাদের নেতার গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টায় বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ভাংচুর করেন এবং সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
আলজাজিরার আসাদ বেগ লাহোর থেকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে যেতে এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কারণে যে দলটি এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে, তা হলো পিটিআই। কারণ, এটি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর অনেক বেশি নির্ভর করে।’