স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে জোট গঠনের চিন্তা নওয়াজ শরীফের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্লেষকরা আগেই ধারণা করেছিলেন যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রধান লড়াইটি হবে ইমরানের পিটিআই এবং শরিফের পিএমএল-এনের মধ্যে।

বিশ্লেষকরা এটাও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, কোনও দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে নাও পারে। তাদের ধারণাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ইমরান ও তার অনুগত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছে।

কিন্তু, তারপরও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বেশ আশাবাদী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে নওয়াজ শরীফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইসহাক দার জিও টিভিকে বলেছেন, ‘আমরা স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে জোট গঠন করবো।’

দার আরও বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরাই সরকার গঠন করব।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, এরই মধ্যে সরকার গঠনের বিষয়ে স্বতন্ত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন নওয়াজ শরীফ।

এদিকে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং এর সমর্থনকারী দলগুলো ১০০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরানের প্রতি অনুগত কিংবা তার দলেরই প্রার্থী এবং তারা ১০৬টি আসনের মধ্যে ৪৭টিতে জিতেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনে মোট ২৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এখন পর্যন্ত ৭০টি আসনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছে, যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৪টি আসন পেয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের নিহত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও পেয়েছে ২৪টি আসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ১৮টি আসন। বাকি আসনগুলো ছোট দলগুলো জিতেছে।

ইমরান কারাগারে রয়েছেন এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলকে নির্বাচনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তাই তার সমর্থকরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বলে জানা গেছে।

মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস বলেছে, ‘সময়মত ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে মসৃণ নতুন সরকার গঠনের ফলে নীতি এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা হ্রাস পাবে। এটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিসের ওই মন্তব্যের কারণ, পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার বিলম্ব ছিল অস্বাভাবিক। বিলম্ব সম্পর্কে বিস্তারিত না জানিয়ে ইসিপির বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল বলেছেন, ‘ওই বিলম্বের কারণ ছিল ইন্টারনেট সমস্যা।’

দেশটির সরকার বলেছে, তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের আগে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে এবং সেগুলো এখন আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে।