পাকিস্তান নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ পিটিআইয়ের
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের বৃহস্পতিবারের ভোটগ্রহণ শেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর শুক্রবার ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ শুরু হয়। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দলকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পিটিআই মুখপাত্র রওফ হাসান নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ভোট চুরি করা হয়েছে। ভোটে কারচুপির অভিযোগ দেশের জন্য ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
রওফ হাসান আরও বলেন, ‘পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শুরু থেকেই সর্বদা এগিয়ে ছিল। প্রথমে কমিশন ফলাফল ঘোষণার গতি কমিয়ে দেয়, পরে সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। গত রাতে বড় ব্যবধানে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সকালে ব্যাপারটা পাল্টে যায়।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১০৭ আসনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ইমরানপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ৩৪টিতে এবং কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪২টি আসনে জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।