প্রধানমন্ত্রীত্বের শর্তে নওয়াজের সঙ্গে জোটে যেতে চায় পিপিপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এর প্রধান নওয়াজ শরিফ ভোট গণনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তবে এর মধ্যেই নিজেকে জয়ী দাবি করেছেন তিনি। সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে কাছে টানার চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি।

পিএমএলএন চাইছে, পিপিপি কে সঙ্গে নিয়ে নতুন জোট গঠন করবে। আর সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ।

এদিকে ভোটের হিসেবে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জানিয়েছে, পিএমএলএন এর সাথে জোট গঠন করতে তাদের কোন আপত্তি না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে দলটির আপত্তি আছে। পিপিপি চায় তাদের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে।

পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ পাকিস্তানের জিও নিউজকে বলেন, ‘নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এজন্যই জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা তাকে (নওয়াজ) প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’

গত বৃহস্পতিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের পর শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত ২৪৫টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই, ৬৯টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএলএন। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন। বাকি আসনগুলোতে জয়ী হয়েছেন অন্যান্য ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

২৪৫টি আসনের ফলাফল প্রকাশের পর শুক্রবার রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন নওয়াজ শরিফ। সেই ভাষণেই পিএমএলএনের বিজয় ঘোষণা করেন ৭৪ বছর বয়সী এই নেতা।

নিজ বক্তব্যে পিটিআইয়ের নাম উল্লেখ না করে দলটির বিজয়ী প্রার্থীদের পিএমএলএনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন নওয়াজ। তবে পিটিআই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে জোট করতে চায় না বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

   

রাইসির উদ্ধারকার্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছিল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোনও কারণে’ ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেই সহায়তা করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান সরকার আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম- আমরা সহায়তা করতে ইচ্ছুক। এটি আসলে এমন কিছু যা আমরা এই পরিস্থিতিতে যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রেই করব। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক্যাল কিছু কারণে, আমরা ইরানকে সেই সহায়তা প্রদান করতে পারিনি।’

তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হয়েছিল তার কোনো বর্ণনাও করেননি ম্যাথিউ মিলার। কিন্তু তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর অবিলম্বে রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পেতে সাহায্য চেয়েছিল ইরান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে রাইসিসহ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর প্রধান শত্রু ইরান তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও’ সেই সহায়তা করতে পারেনি দেশটি।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ওয়াশিংটনের সাথে তেহরানের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে খোলামেলা সংঘর্ষের পর স্থিতিশীলতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান ওমানে বেশ গোপনেই তাদের সর্বশেষ আলোচনা সম্পন্ন করেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ‘আনুষ্ঠানিক শোক’ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সাথে সাথে আমরা ইরানের জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করছি।’

অবশ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই শোক ও সমবেদনা প্রকাশকে রাইসির প্রতি সমর্থন হিসেবে নয় বরং বৈশিষ্ট্যসূচক মানদণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসি এমন একজন লোক ছিলেন যার হাতে প্রচুর রক্তের দাগ ​​ছিল’।

;

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

সোমবার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্মরণে এ নীরবতা পালন করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার সকালে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান পেদ্রো কমিসারিও।

রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দু’দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসিসহ ওই হেলিকপ্টারের সব যাত্রী নিহত হন। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

;

গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছেন, গাজায় হামাসের ‘জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা সংঘটিত করছে না।

সোমবার (২০ মে) হোয়াইট হাউজে ‘ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মাস’ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাইডেন নিয়মিত ফিলিস্তিনপন্থি বক্তাদের প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। ইসরায়েলের পক্ষে তার অবিচল সমর্থনের জন্য এসব প্রতিবাদকারীরা বাইডেনকে ‘গণহত্যা জো’ তকমা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিজেই হামাস ‘জঙ্গিদের’ হামলার ভুক্তভোগী। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলে হামাস ‘জঙ্গিরা’ হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা আর কয়েকশ জনকে জিম্মি করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ‘লৌহদৃঢ়’।

সিনওয়ার ও হামাসের বাকি কসাইদের অপসারণ করতে ইসরায়েলের পাশে আছি আমরা। আমরা হামাসের পরাজয় চাই। এটি করার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছি আমরা, বলেন তিনি।

গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে যারা অসুস্থ, বয়স্ক ও আহত তাদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা আলোচনা স্থবির হয়ে আছে, কিন্তু বাইডেন তাদের মুক্তির চেষ্টায় ক্ষান্ত না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, যত কঠিনই হোক না কেন আমরা তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি, বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। বাইডেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন।

;

মিয়ানমার সংঘাত

দক্ষিণে ব্যাপক সংঘর্ষ, সরকারি কর্মীদের সরাচ্ছে জান্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ পরস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো থেকে সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ মাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি। ব্যাপক সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহ ধরে থান্ডওয়ে থেকে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। বাসিন্দারা জানান, বড় বড় ট্রাকে করে সরকারি সব অফিস থেকে আসাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

থান্ডওয়ের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং সরকারি কর্মীদের ওই এলাকার একটি ধর্মীয় হলে রাখা হয়েছিল। তাদের সরানো হচ্ছে। আমি তাদের ইয়াঙ্গুনে গাড়ি চালাতে দেখেছি। আমি এখন পর্যন্ত ৪৮টি ভারী যন্ত্রপাতির ইউনিট এখানে এসেছে।'

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল টাউনশিপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থান্ডওয়েতে সরকার এবং আরাকান আর্মির মধ্যে কমপক্ষে ১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দেশটিতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে একের পর এক ঘাঁটি হাতছাড়া হচ্ছে সেনাদের। রাখাইন, কাচিন রাজ্য, বাগো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও, ভারত সীমান্তবর্তী আরও দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সোমবার ইরাবতি জানায়, চীন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের সিখা ও টনজ্যং শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল আর্মি। অঞ্চলটিতে গেলো কয়েকদিন ধরে জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

;