ফল ঘোষণার আগেই ১২ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কারাবন্দী ইমরান খান এবারের নির্বাচনে লড়তে পারেননি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকেও (পিটিআই) দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। তারপরও পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে। এমন অবস্থায় সামরিক স্থাপনা হামলা মামলাসহ ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ এটিসির বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন। ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১২ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যেসব মামলায় ইমরান খান জামিন পেয়েছেন- সেগুলো গত বছরের ৯ মে পাকিস্তানের একাধিক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর অভিযোগে ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল। ইসলামাবাদ থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্স। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাওয়ালপিন্ডিতে সেনার সদর দফতরসহ প্রায় ২০টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লাহোরের কর্পস কম্যান্ডারের বাড়ি, শাদমান পুলিশ স্টেশনেও হামলা হয়। শতাধিক পিটিআই কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত ছিলেন ইমরান।

ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ছিল পাকিস্তানের নির্বাচন। জেলবন্দি থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তরফেও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বৈধতা বাতিল করে দেওয়া হয়। ইমরানের দলের কর্মী-সমর্থকরা বেগুন প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়েছেন। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এখনও অবধি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়নি। তবে প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে রয়েছেন পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরাই। তবে একক সংখ্য়াগরিষ্ঠ দল হিসেবে এগিয়ে রয়েছে নওয়াজ শরিফের দলই।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই বড় স্বস্তি পেলেন জেলবন্দি ইমরান খান। সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো সংক্রান্ত ১২টি মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

গত বছরের আগস্টে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।  পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার সাজা স্থগিত করলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার ফাঁস করার আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। যা সাইফার মামলা নামে পরিচিত। এই মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।