নওয়াজ ও মরিয়মের জয়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিআই
পাকিস্তানের লাহোরের জাতীয় পরিষদের আসনে পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) লাহোর হাইকোর্টের দ্বরস্থ হয়েছে একই আসনে পরাজিত পিটিআই প্রার্থীরা।
এলএইচসিতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের জয়কে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআই-সমর্থিত বেশ কয়েকজন হেরে যাওয়া প্রার্থী দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তাদের ফর্ম-৪৫ এর পরিবর্তে ফর্ম-৪৭ ব্যবহার করে ‘ভুয়া’ ফলাফলের ফর্মে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
এলএইচসিতে আবেদনকারীদের একজন ডঃ রশিদ বলেছেন, তিনি ফর্ম-৪৫ অনুসারে শরীফের বিরুদ্ধে আসন জিতেছেন। তবে, ইসিপি পিএমএল-এন সুপ্রিমোকে জয়ী ঘোষণা করে ফর্ম-৪৭ জারি করেছে।
একইভাবে শেহজাদ বলেছেন, মরিয়ম ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বা ফরম-৪৫ অনুসারে আসনটি হেরেছিলেন। কিন্তু, ফর্ম-৪৭ এর মাধ্যমে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, একই অভিযোগে আরেক পিটিআই সমর্থিত হেরে যাওয়া প্রার্থী মুলতানে পিপিপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির জয়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির মেয়ে শাহের বানুও একই অভিযোগে তার পরাজয়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
পিটিআই সেক্রেটারি ওমর আইয়ুব খান বলেছেন, ‘জাতি পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ভোট দিয়েছে।’
তিনি দাবি বলেন, ‘জাতি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে ভেঙে দিয়েছে।’
তিনি সকল দলীয় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ফরম-৪৫ সংগ্রহ করতে এবং ‘কারচুপির ফলাফল’ চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ইমরানের পিটিআই পার্টির কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের সাধারণ সম্পাদক হাম্মাদ আজহার জোর দিয়ে বলেছেন, ‘নওয়াজ শরীফ এবং তার ভাই শেহবাজ, পরিবারের সদস্যরা এবং প্রধান পিএমএল-এন নেতারা নির্বাচনে ব্যাপক হারে পরাজিত হয়েছেন।’
পিটিআই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে কারচুপির সব প্রমাণ আছে এবং বেশ কিছু হেরে যাওয়া প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।’
অন্যদিকে, ইমরান খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী জাফর শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পিটিআই জাতীয় পরিষদের ১৫০টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ইসিপি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে তার আইকনিক ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়ার পরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বিপুল সংখ্যক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পাকিস্তানের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন নেটওয়ার্ক (ফাফেন) নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের এলাকা তুলে ধরে জানিয়েছে, ‘২৯ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের ফর্ম-৪৫ প্রদানে প্রিসাইডিং অফিসারদের ব্যর্থতার লক্ষ্য করা গেছে।’