জেলখানা থেকে অং সান সু চির চিঠি
ছেলে কিম অরিসের কাছে জেলখানা থেকে চিঠি লিখেছেন মিয়ানমারের মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি। গত তিন বছর ধরে তাকে আটকে রাখা হয়েছে রাজধানী ন্যাপিডের একটি নিঃসঙ্গ কারাগারে। বন্দিজীবনে যে দুর্দশার শিকার হচ্ছেন তার বর্ণনা করেই ছেলেকে চিঠি লিখেছেন সু চি।
বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মায়ের হাতের লেখা একটি চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কিম অরিস।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
জুম মাধ্যমে ইংল্যান্ডের বাড়ি থেকে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে ২রা ফেব্রুয়ারি কিম অরিস কথা বলেছেন।প্রায় তিন বছর নীরবতার পর মা অং সান সুচির হাতে লেখা একটি চিঠি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
কিম অরিস জানান, চিঠিতে সুচি জানিয়েছেন, তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন না। দাঁতের এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। এ অবস্থায় সুচির স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিম অরিস।
অরিস বলেন, ‘মা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাকে আমি কেয়ার প্যাকেজ পাঠিয়েছিলাম। তার জন্য তিনি চিঠিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এখন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এখনও তার দাঁতের অবস্থা ভালো নয়। এর ফলে খাবার খাওয়া তার জন্য মাঝে মাঝেই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তার অস্টেপেরোসিসের সমস্যা আছে। এই রোগে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে।’
অরিস আরও বলেন, তিনি তার মায়ের মঙ্গলের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। ৭৮ বছর বয়সী এই নেত্রীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না দিয়ে ভয়াবহ একটি পরিবেশে আটকে রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে। এতে শুধু মিয়ানমার নয়, সারাবিশ্বে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার বিরুদ্ধে আনা সব দুর্নীতির অভিযোগ যে রাজনৈতিক তা ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করে জনসাধারণ। তবে এসব মামলায় তাকে ২৭ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।
অরিস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো সেনাবাহিনীই আইন বানাচ্ছে এবং সে মতো সব করছে। এতে আমার মায়ের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে তারা।’
এতো চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার মায়ের সঙ্গে ভবিষ্যত যোগাযোগ রাখার আশা করেন। তিনি বলেন, ’তাকে আমি আবারও চিঠি লিখব। আবারও পাঠাবো কেয়ার প্যাকেজ।’