গাজায় হামলা চালালে করুণ পরিণতি হবে: সৌদি আরব



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফা শহরে ইসরাইলের পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। ইসরাইলের গাজা হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত সব মানুষ এখন দক্ষিণের এই শহরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ অবস্থায় বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাঙ্কি ব্রুইন্স স্লোট। ডেভিড ক্যামেরন সতর্কতা দেখিয়ে বলেছেন, ওই এলাকায় গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাস করেন। সেখানে ইসরাইল অভিযান চালালে বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণহানি হবে। 

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সতর্কতা দেয়া হয়েছে। রাফায় হাজার হাজার মানুষ তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সেই শহরকে টার্গেট করা হবে ইসরাইলি নৃশংসতা। মন্ত্রণালয় থেকে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা হয়েছে।

এরই মধ্যে গাজা, পশ্চিমতীর মিলে কমপক্ষে ২৭ হাজার ৯০০ মানুষকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৭ হাজার সাধারণ মানুষ। এসব হামলায় অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন রাফা শহরে। 

হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল। রাফা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই নির্দেশের পর সেনারা প্রস্তুত অভিযানের জন্য। এর প্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক ওই সতর্কবার্তা এসেছে।

নেতানিয়াহুর অফিস থেকে বলা হয়েছে, হামাসকে নির্মূল না করলে ইসরাইলের লক্ষ্য অর্জন হবে না। রাফা এলাকায় হামাসের চারটি ব্যাটালিয়নকে রেখেও লক্ষ্য অর্জন হবে না। তাই রাফায় তীব্র অভিযান চালানোর জন্য ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন। 

তবে হামাসের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।ইসরাইলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাফায় আগ্রাসন চালানো হলে তা হবে বিপর্যয়কর। একই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। দাতা সংস্থাগুলো বলেছে, মিশর সীমান্তের এই শহর থেকে প্রতিজন মানুষকে উদ্ধার করা অসম্ভব।

পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গাজায় অবস্থান করছেন জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোলড্রিক। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ইসরাইলি সেনারা অভিযান চালালে রাফায় অবস্থানকারীদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, যেসব এলাকাকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা আর নিরাপদ নেই। এখন যদি এসব মানুষকে সরে যেতে হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে? প্রশ্ন রাখেন তিনি। বলেন, আমরা শুধু একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি। এতে অবস্থা শুধু আরও ভয়াবহ হবে। 

ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে রাফায় অবস্থান করছেন। ইসরাইলের হামলার কারণে তারা এখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বেশির ভাগ মানুষ বসবাস করছেন তাবুতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, রাফায় সামরিক অভিযানের প্রেক্ষিত নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হলো অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা। তারপর পরিস্থিতিকে টেকসই এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাওয়া।

ওদিকে মিস ব্রইন্স স্লোট রাফা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজার বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ দক্ষিণে চলে গেছেন। এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামরিক অভিযান চালালে তাতে কত সাধারণ মানুষ হতাহত হবে এবং কি বড় আকারের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে- সে দৃশ্য দেখা খুব কঠিন বিষয়। এটা অযৌক্তিক। 

   

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গ্রুপ হামাস শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি পাল্টা প্রস্তাব পেয়েছে এবং তারা সেটি পর্যালোচনা করছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাস তাদের অবস্থানের ব্যাপারে ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, যা গত ১৩ এপ্রিল মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামাস ওই প্রস্তাব পর্যলোচনা করছে এবং তাদের পর্যালোচনার কাজ শেষ হলে তারা সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিলেও ইসরায়েল সেটির বিরোধিতা করে।

এদিকে ইসরায়েল এবং মিশরের মিডিয়া জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল স্থবির হয়ে পড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুক্রবার ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

গত নভেম্বরে এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি পালনের পর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীর পাশাপাশি মিশর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

ওই এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েলের ৮০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে দেশটির কারাগারে বন্দী ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে মিশরীয় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, ‘মিশর ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলের মতামত কাছাকাছি আনার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে।’

;

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, জাপানের বনিন দ্বীপপুঞ্জে ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খবর রয়টার্সের।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫০৩.২ কিমি (৩১২.৭ মাইল) গভীরতায় ছিল। তবে এবারের ভূমিকম্পের পর জাপানে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পের কারণে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেনি রয়টার্স।

;

কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে ভূমিধস: নিহত ৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে ভূমিধসে অন্তত ৪ জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কের দারোনতা এলাকায় এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে বলে নানগহর তালেবান অফিসের গভর্নর জানিয়েছেন।

আফগান সংবাদমাধ্যম আমু জানায়, ল্যাগম্যান প্রদেশের কাবুল-জালালাবাদের এ মহাসড়কে ভূমিধসর কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। তবে পরে মহাসড়কটি চলাচলের জন্য ফের উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

পাহাড় থেকে পাথর ধসে পড়ে কতজন আহত হয়েছেন, সে খবর তালেবান কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি।

উল্লেখ্য, কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কে প্রায়ই এধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে প্রায়ই হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এ মহাসড়কটি কাবুলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম একটি রুট।

;

পর্তুগালের জাহাজের ক্রুদের মুক্তি দেবে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসে আটক করা পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজের ক্রুদের মুক্তি দেবে ইরান।

ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গত ১৩ এপ্রিল হরমুজ প্রণালী থেকে ২৫ জন ক্রুসহ এমএসসি এ্যারিস নামের জাহাজটি আটক করে।

আটকের পরে ইরান বলেছিল, জাহাজটি তার চিরশত্রু ইসরায়েলের এবং এটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রেঞ্জেলকে ফোন কলে বলেন, ‘জাহাজের ক্রুদের মুক্তির মানবিক বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত বিবরণ ছাড়াই শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা তেহরানে পর্তুগালের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি যে, ক্রু সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং প্রত্যর্পণ করা হবে।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, জাহাজটি আটকের পর ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জাহাজটির অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছিল পর্তুগাল।

গত ১৮ এপ্রিল ভারত জানিয়েছিল, জাহাজটির ১৭ জন ভারতীয় ক্রু সদস্যদের মধ্যে একজন দেশে ফিরে এসেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছিলেন, ‘তারা সুস্থ্য আছেন এবং জাহাজে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে জাহাজটি আটক করে ইরান।

ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জাহাজ আটকের ঘটনাকে ‘জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

;