দর কষাকষির খেলায় কে হবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী ঝড়ে উত্তাল পাকিস্তান! উদ্বেগ-হতাশা, আশা-প্রত্যাশা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বহুল প্রত্যাশিত ভোট গ্রহণ শেষ হলেও এখন সরকার গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে ‘নতুন নাটক।’

আর সেই কারণেই একের পর এক চিত্রায়ণে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। ভোটের আগে সেনা-সরকারের নির্বাচনী ছক আর ভোটের পর শুরু হলো বিলম্বিত ফল প্রকাশের পর্ব। আর এখন চলছে সরকার গঠনের অঙ্ক।

নায়কের পেখমে সঙ্গী (জোট) খোঁজার শিহরণে দুলছেন দুই পার্শ্বনায়ক-নওয়াজ শরিফ, বিলাওয়াল ভুট্টো। একই সঙ্গে চাঙা হয়ে উঠেছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ফলাফলে কারচুপির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের সিনেমা। কিছুটা ডকুমেন্টারি ফিল্মের ধাঁচে শান্তিপূর্ণ।

মেরুদণ্ডহীন গণতন্ত্রে সেনাদের বুট-বুলেটের আগ্রাসী অস্তিত্বের প্রতিফলন আবারও ভেসে উঠেছে দেশটিতে। রোববার পর্যন্ত পুরো দুদিন পার হলেও পূর্ণ ফল প্রকাশ পায়নি। টালমাটাল দিশেহারা পাকিস্তানে এ নিয়েই চলছে নিন্দা, সমালোচনা, বিক্ষোভ। এমন টানাপোড়নের মধ্যেই চলছে জোট সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ।

জোটের খোঁজে একে অপরের সাহারা হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো। রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। টানাহ্যাঁচড়া চলছে সরকার গঠন বাসনা নিয়ে।

কে বেশি আসন পেল সেটা বড় কথা নয়। সরকারে যেতে চায় তিন দলই। তার চাইতে বড় কথা হলো প্রধানমন্ত্রী হতে চান তিন মঞ্চের তিন নায়কই। জয়ের আসন সংখ্যা পূর্ণ করতে না পেরে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন জোট সরকার গঠনের দৌড়ে পিপিপির সঙ্গে ব্যাপক দরকষাকষি শুরু করেছে।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, দুই দলের নেতাদের বৈঠকে পিপিপিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও সিনেটের চেয়ারম্যান পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পিএমএল-এন।

কিন্তু, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর শর্তেই শুধু পিএমএল-এনের সঙ্গে পিপিপি সমঝোতায় রাজি হবে বলে জানিয়েছেন। সরকার গঠনের অসীম উচ্ছ্বাসে ভাসছে ইমরান খানের পিটিআইও।

সেনা বাধা আর বিরোধীদের নানান কৌশল টপকে নির্বাচনী জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছেন খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। রবিবার ডন ও জিও নিউজের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, স্বতন্ত্ররা ১০১টি আসন পেয়েছেন। যার মধ্যে সরাসরি পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৩টি আসন।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি। এর মধ্যে অবশ্য পিএমএল ৩টি। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। দশটি ছোট দল বাকি ১৭টি আসন পেয়েছে। ২ আসনের গণনা স্থগিত করা হয়েছে।

পিটিআই ভোটের সব থেকে বেশি আসন নিয়ে সেনা-সমর্থিত পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর ক্ষমতায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তবে ফলাফল ঘোষণার বিলম্ব তার সমর্থকদের মধ্যে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিটিআই নেতাদের দাবি, ভোট কারচুপি না হলে তারা আরও বেশি আসন পেতেন তারা।

নির্বাচনের দিন মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ এবং ফলাফলের ধীরগতির গণনা সন্দেহের জন্ম দেয়। ধারণা করা হয় সামরিক সংস্থা পিএমএল-এন-এর সাফল্য নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করতে পারে। যার জেরে রবিবার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার আহ্বান জানায় পিটিআই। ফলে শুরু হয় বিক্ষোভ।

নির্বাচনে কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে সারাদেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে পিটিআই নেতারা। রাওয়ালপিণ্ডির সাদিকাবাদে জেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার এবং লাঠিচার্জ করেছে বলে জানা গেছে। পিটিআইয়ের আরও কিছু কর্মী শুক্কুর প্রেস ক্লাবের বাইরেও বিক্ষোভ করেছে।

এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন এনএ-২০০ এবং পিএস-২৪ থেকে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোহর খোসো এবং সাফিয়া বালুচ। এ ছাড়া পিটিআই কর্মীদের আরেকটি বিক্ষোভ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সিন্ধু অফিসের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে পাঞ্জাবের দক্ষিণের শহর চকওয়ালে রিটার্নিং অফিসারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করার জন্য পিপি-২২ এবং পিপি-২৩-এর প্রার্থীসহ ৩০০ পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় সন্ত্রাস ও সাউন্ড অ্যাক্ট লঙ্ঘনসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে করাচিতে ও লাহোরেও। সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) ও জামায়াত-ই-ইসলামী (জেআই)- এই দুই দলও যোগ দেয়।

   

রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা ঠুকে তাকে ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেসের বরাত দিয়ে শনিবার (৪ মে) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তাস।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে রাশিয়া।

সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করার জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং পূর্ববর্তী লাটভিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যদের নাম ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করেছিল রাশিয়ার পুলিশ।

এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরের নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল মস্কো, যিনি গত বছর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

;

কাশ্মীরে বিমান বাহিনীর কনভয়ে জঙ্গি হামলা, আহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিরা সেখানে বিমান বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

ওই হামলার পরে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় রাইফেলস। এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

জঙ্গিদের খোঁজে নেমেছে সেনাবাহিনীও। জানা গেছে, হামলার পরে কনভয়ের গাড়িগুলোতে নিরাপদে বিমান ঘাঁটিতে ঢোকানো হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইএ জানিয়েছে, ওই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

কাশ্মীরের কৃষ্ণাঘাঁটি এলাকায় জঙ্গলের কাছে জঙ্গিরা অতর্কিতে ওই হামলা চালায় জানা গেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে।

;

আদালতের বিরুদ্ধে হুমকি বন্ধের আহ্বান আইসিসির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের ভয় দেখানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)। আইসিসির প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, এই ধরনের হুমকি বিশ্বের স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।

আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খানের হেগভিত্তিক কার্যালয় শুক্রবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে বলেছে, তার কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো বা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার সকল প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের বিপরীতে আইসিসির পরিণতি সম্পর্কে ইসরায়েল এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করার পরে এই বিবৃতি জারি করা হলো।

করিম খানের কার্যালয় বলেছে, রোম সনদের অধীন এ আদালতের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বৈধ ক্ষমতা রয়েছে। এই কর্তৃত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করতে চায় এ দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়, তবে যখন কারও পক্ষ থেকে আদালত বা তার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এ স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়। আদালতের উচিত তার বৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করা, নিজ এখতিয়ারের অধীন দায়ের করা মামলা বা তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আদালত আরও বলেন, রোম সনদে আইসিসির কাঠামো ও এখতিয়ারের ক্ষেত্র উল্লেখ করা আছে। সেই সঙ্গে আদালত ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের তাণ্ডব চলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন আইসিসি।

যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ব্যক্তিবিশেষকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন আইসিসি। গত ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু করা ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় অভিযানে এরই মধ্যে সেখানে ৩৫ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বিচার বোমা হামলায় উপত্যকাটির বড় অংশ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

এ অবস্থায় ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় দেশটি ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার নেতানিয়াহু আইসিসিকে তিরস্কার করে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েল আশা করে মুক্তবিশ্বের নেতারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অন্তর্নিহিত অধিকারের উপর আইসিসির বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। আমরা আশা করি তারা এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য তাদের নিষ্পত্তির সব উপায় ব্যবহার করবে।’

বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতাও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হস্তক্ষেপ করতে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির যেকোনো পদক্ষেপকে ব্যর্থ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর জন ফেটারম্যান চলতি সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পথ অনুসরণ করা আইসিসির বিচারিক এবং নৈতিক অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি করবে।’

;

যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কায়রো পৌঁছেছেন হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্ভাব্য গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জোরদার আলোচনার জন্য শনিবার (৪ মে) কায়রোতে পৌঁছেছেন হামাসের নেতারা। হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিআইএ পরিচালক ইতিমধ্যেই কায়রোতে উপস্থিত হয়েছেন।

কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিশরের রাষ্ট্রীয় নিউজ টিভি চ্যানেল আল-কাহেরা।

মিশরের একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘আজকের ফলাফল ভিন্ন হবে। আমরা অনেক পয়েন্টে মতৈক্যে পৌঁছেছি। মাত্র কয়েকটি পয়েন্ট বাকি আছে।’

এদিকে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা তার সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এবার আশা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু একটি চুক্তি হবে কিনা তা নির্ভর করবে ইসরায়েলের সদিচ্ছার উপর।’

হামাস প্রতিনিধিদল কাতারে ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলনের সদরদপ্তর থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনও।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা শনিবার বলেছেন, ‘ইসরায়েল কোনো অবস্থাতেই আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার চুক্তির অংশ হিসাবে যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হবে না।’

হামাস শুক্রবার বলেছে, একটি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব পর্যালোচনার পরে এটি একটি ইতিবাচক মনোভাব কায়রোতে আসবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ২০ থেকে ৩৩ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার এবং এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ স্থগিত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মিশরীয় সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রো পৌঁছেছেন। তিনি আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় জড়িত ছিলেন এবং ওয়াশিংটন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এবার অগ্রগতি হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতে, রাফাহতে একটি বড় ইসরায়েলি অভিযান আরও অনেক জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

কিন্তু ইসরায়েল বলেছে, তারা শেষ পর্যন্ত রাফাহ দখল করা থেকে বিরত হবে না।

;