কেন্দ্রে সরকার গড়তে এমডব্লিউএমের সঙ্গে হাত মেলাবে পিটিআই
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনের জন্য মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমীনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে হাত মেলাবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
জিও নিউজ জানিয়েছে ইসলামাবাদে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পিটিআই মুখপাত্র রউফ হাসান বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং মুত্তাহিদা কওমির সঙ্গে কোনও আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান খান। এর পরিবর্তে তিনি এমডব্লিউএম, মুভমেন্ট-পাকিস্তান, পাখতুনখোয়াতে জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে জোট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
ইমরানের ভাষ্য অনুযায়ী রউফ হাসান বলেন, ‘যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে, তাদের সরকার গঠনের অনুমতি দেওয়া উচিত। কারণ, এটি তাদের অধিকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিএমএল-এন, এমকিউএম-পি এবং পিপিপি ব্যতীত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য দলের রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমাকে ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ৯০টিরও বেশি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি আসনে জয়লাভ করে সবচেয়ে বড় গ্রুপ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। পক্ষান্তরে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৫৪ আসন।
কোনও দলই সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সফল হতে পারেনি এই আলোকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই পিএমএল-এন এবং পিপিপি উভয় দলই তাদের সংসদীয় অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য স্বতন্ত্রদের তাদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।
জাতীয় পরিষদে মাত্র একটি আসন পাওয়া এমডব্লিউএমের সঙ্গে হাত মেলানোর পিটিআইয়ের সিদ্ধান্ত এই কারণে যে, দলটির পৃষ্ঠপোষক প্রার্থীরা পাঞ্জাবের ১১৬টি প্রাদেশিক বিধানসভা আসন জিতেছে।
পিটিআইয়ে যোগদানের জন্য তাদের হাতে ৭২ ঘন্টা সময় থাকবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবে দলটিকে সরকার গঠন করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অন্যান্য দলের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। কারণ, সেখানে পিএমএল-এন ১৩৮টি আসন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে।