সম্পর্ক উন্নয়নের পথে উত্তর কোরিয়া ও জাপান

  • ziaulziaa
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, তার দেশ জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবে। এমনকি জাপানের নেতাকে ভবিষ্যতে পিয়ংইয়ং সফরের সম্ভ্যাব্য আমন্ত্রণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত সপ্তাহে টোকিও এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক পরিবর্তনের জন্য জরুরী প্রয়োজনীয়তা অনুভব করার পরে কিম ইয়ো জং এই মন্তব্য করলেন।

বিজ্ঞাপন

সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে (কেসিএনএ) এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, ‘আমি মনে করি তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে প্রশংসা না করার কোনও কারণ নেই। যদি এটি সাহসিকতার সঙ্গে নিজেকে অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য তার আসল উদ্দেশ্য দ্বারা প্ররোচিত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই দেশের ঘনিষ্ঠ না হওয়ার কোনও কারণ থাকবে না এবং জাপানী প্রধানমন্ত্রীর পিয়ংইয়ং সফরের দিন আসতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া ২০০২ সালে স্বীকার করেছিল, তারা ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে ১৩ জন জাপানি লোককে অপহরণ করতে এজেন্ট পাঠিয়েছিল।

তবে জাপানের সন্দেহ, তাদের অনেক বেশি নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।

গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এক বক্তৃতায় কিশিদা উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে কোনও শর্ত ছাড়াই দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘টোকিও অপহরণসহ সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক।’

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ সালে পিয়ংইয়ংয়ে একটি যুগান্তকারী সফর করেছিলেন। তিনি কিমের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি পথ নির্ধারণ করেছিলেন।

এই সফরের ফলে পাঁচজন জাপানি নাগরিক ফিরে আসে এবং কোইজুমি একটি ফলো-আপ ট্রিপ করেন। কিন্তু, দুই দেশের মধ্যে কূটনীতি শীঘ্রই ভেঙ্গে পড়ে টোকিওর উদ্বেগের কারণে।

কারণ, উত্তর কোরিয়া অপহরণের শিকারদের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি।