দেশ পুনর্গঠনে জাপানের সহায়তা চাইলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে পুনর্গঠনে জাপানের সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল।

ওই আহ্বানের বিপরীতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে একটি অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জাপান ও ইউক্রেনের প্রায় ৩০০ জন সরকারি ও ব্যবসায়ী নেতাদের এক ডেনিস শ্যামিগাল সম্মেলনে বলেন, ‘যখন থেকে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তখন জাপান ইউক্রেনকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে। যা দেশটকে চতুর্থ-বৃহত্তম দাতা হিসেবে পরিণত করেছে।’

শ্যামিগাল এক দোভাষীর মাধ্যমে আরও বলেন ‘রাশিয়ার এই ভয়ানক যুদ্ধের সময় ওই অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ। ওই অর্থায়নের ফলে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে টোকিওতে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে এটি বাতিল করা হয়।

শ্যামিগাল বলেন, ‘ইউক্রেনের পুনর্গঠন প্রচেষ্টার প্রধান ইঞ্জিন হল বেসরকারি খাত। আমরা ইউক্রেনের আধুনিকীকরণ এবং পুনর্গঠনে জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা চাই আপনারা সবাই ইউক্রেনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হোন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে কোম্পানিগুলো ইউক্রেনের অর্থনীতিতে এখন বিনিয়োগ করবে, তারা আগামী কয়েক বছরে এমন সুবিধা সুযোগ পেতে সক্ষম হবে যা আপনি বিশ্বাস করবেন না। ইউক্রেনের সাফল্য শুধু আমাদের সাফল্য নয়, এটি আপনার সাফল্যও। জাপান গত বছর সমাপ্ত পণ্যের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে।’

গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ একটি যৌথ প্রতিবেদনে ইউক্রেনের পুনর্গঠনে পরবর্তী দশকে ৪৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ অনুমান করেছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র ২০২৪ সালে ছিল ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার ইউক্রেন এবং এর জনগণকে তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা পুনরুদ্ধারে সমর্থন দানের জন্য জাপানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তিনি ইউক্রেনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উভয় পক্ষ অবকাঠামো পুনঃনির্মাণ, ডিমাইনিং, কৃষি এবং শাসন বর্ধনসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

জাপান ইউক্রেনের ব্যবসায়ীদের ভিসা নীতিও শিথিল করতেও সম্মত হয়েছে।

রাশিয়া বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের শক্ত ঘাঁটি আভদিভকা পুনরুদ্ধার করার পর এবং কংগ্রেসে মার্কিন সামরিক সহায়তার ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে যাওয়ার পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।