ভোট কারচুপির স্বীকারোক্তি প্রত্যাখ্যান করলেন লিয়াকত আলি চাত্তা
পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলি চাত্তা। তবে এবার নিজের দেওয়া সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা দায় চাপিয়েছেন অন্যের ঘাড়ে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিয়াকত আলি চাত্তার দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে তিনি জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ইসিপির কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে চাথা বলেন, আমি আমার কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিজেকে আমি কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্থন করছি।
এর আগে গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) লিয়াকত আলি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে কারচুপি হয়েছে। এ কাজে তিনি সহায়তা করেছেন। এ জন্য বিবেকের তাড়নাবোধ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, এই অন্যায়ের পেছনে কে জড়িত, তা কারও অজানা নয়। জাতীয় পরিষদের ১৩ জন প্রার্থী হেরে যান। কিন্তু তাদের ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করতে আমাদের বাধ্য করা হয়েছে।
তবে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সংস্থাটি বলছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের কোনো নির্দেশ দেননি। এ ছাড়া এমন বিস্ফোরক ঘোষণা দেওয়ার পর পরই লিয়াকত আলিকে গ্রেফতারের কথা জানায় পাকিস্তান পুলিশ। পরে অবশ্য এই অবস্থান থেকে সরে এসে তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানানো হয়।