গাজা সংঘাতে স্ত্রী-সন্তানসহ ১০৩ স্বজনের মৃত্যু, খুঁজছেন মরদেহ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার এক অসহায় বাবা আহমাদ আল-গুফেরি। তিন মেয়ে তালা, লানা ও নাজলা ও স্ত্রী শিরিনকে নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার ছিল। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বোমা হামলাতেই ধ্বংস হয়ে যায় সব। বহুদিন ইসরায়েলের সামরিক বাধায় আটকে থেকে অবশেষে ফিরলেন সেই প্রাণহীন বাড়িতে; উদ্ধার করছেন নিখোঁজ স্বজনের মরদেহ। 

তেল আবিবের একটি  নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন আহমাদ। ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর সময়েও  সেখানেই অবস্থান করছিলেন তিনি। ইসরায়েলের সামরিক অবরোধের কারণে তার স্ত্রী এবং তিন কন্যার কাছে ফিরে যেতে পারেনি। এরই মধ্যে সব শেষ। রেখে যাওয়া বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ; স্বপ্নভঙ্গের মতো ভেঙ্গে গেছে সাজানো সংসার। হারিয়েছেন শতাধিক আত্মীয়-স্বজন।

গাজা শহরের জেইতুন পাড়ার সাহাবা মেডিকেল সেন্টারের কোণে চার তলা ভবনটিতেই শেষবার পরিবারকে দেখেছিলেন। পরিবার থেকে ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) দূরে জেরিকোর দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহরে আটকে পড়েছিলেন তিনি। এদিকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় পরিবারের সকল সদস্যসহ তার অন্তত ১০৩ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন।

হামলার ২ মাস পরেও নিখোঁজ মরদেহ খুঁজছেন আহমাদ

 

তিনি বলেন, ‘গাজায় আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। আমি কার জন্য ফিরে যাব? কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে? কে আমাকে প্রিয়তম বলে ডাকবে?’ 

আহমাদের সবচেয়ে ছোট মেয়ে নাজলার জন্মদিন ছিল গত সপ্তাহে। বেঁচে থাকলে শিশুটি দুই বছরে পা রাখত।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আহমাদ বলেন, ‘আমার মেয়েরা ছিল ছোট্ট পাখির মতো। আমার এখনো মনে হয়, আমি একটি দুঃস্বপ্ন দেখছি। আমার জীবনে যা ঘটে গেল, তা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।’

সন্তানদের ছবি দেখলেই মুষড়ে পড়েন আহমাদ। কিছুতেই তিনি শোক সামাল দিতে পারছেন না। মর্মযাতনা থেকে বাঁচতে তিনি সন্তানদের ছবি মুঠোফোন ও ল্যাপটপের পর্দা থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। এরপরও স্ত্রী-সন্তান-স্বজন হারানোর শোক তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

গাজা শহরের হামলা আহমাদ আল-গুফেরির পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের পরিবার থেকে ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) দূরে জেরিকোর দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহরে আটকে পড়েছিলেন আহমাদ।

৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হামলার ঠিক আগমুহুর্তে তার স্ত্রী শিরিনের সাথে ফোনে কথা বলছিলেন আহমাদ। তিনি বলেন, ‘সে আমাকে বলেছিল তাকে যেন ক্ষমা করে দিই। সে যেন জেনে গিয়েছিল আর দেখা হবেনা আমাদের। আমি তাকে বলেছিলাম যে এটি বলার দরকার নেই। এবং এটি ছিল আমাদের মধ্যে শেষ কথোপকথন। সেই সন্ধ্যাতেই একটি বড় বোমা হামলায় আমার স্ত্রী এবং তিন কন্যা - তালা, লানা এবং নাজলা নিহত হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমার চাচার চারতলা বাড়ির ওপর দিয়ে যুদ্ধবিমান চক্কর দিচ্ছিল বলে আমার স্ত্রী জানায়।’

এতে আহমাদের মা, তার চার ভাই এবং তাদের পরিবার, সেইসাথে তার কয়েকজন খালা, চাচা এবং চাচাত ভাইকেও হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা শতাধিক। দুই মাস পার হয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের কিছু মরদেহ এখনও আটকে আছে।

আহমাদের জীবিত আত্মীয়দের একজন হামিদ আল-গুফেরি বিবিসিকে বলেছেন, ‘হামলা শুরুর সাথে সাথে যারা পাহাড়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা বেঁচে গিয়েছিল এবং যারা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা নিহত হয়েছে। এটি একটি ফায়ার-বেল্ট ছিল। আমাদের পাশের চারটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর তারা একটি বাড়িতে আঘাত করে।’

রেখে যাওয়া বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ

 

তিনি বলেন, গুফেরি পরিবারের ১১০ জন লোক সেখানে ছিল। গুটিকয়েক ব্যতীত সবাই মারা গেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন ৯৮ বছর বয়সী দাদী এবং সবচেয়ে কম বয়সী ছিল মাত্র নয় দিন আগে জন্ম নেওয়া একটি শিশু ছেলে।

আহমাদ বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এদের মধ্যে আমার ভাইয়ের স্ত্রী এবং আমার ভাগ্নে মোহাম্মদ রয়েছে। এদেরকে টুকরো টুকরো করে বের করা  আনা হয়েছে। তাদের মরদেহ ৭৫ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিল।’

আহমাদের পরিবারকে হত্যার ঠিক আগের দিন এবং পরের দিনগুলিতে আল-গুফেরি বাড়ির দক্ষিণে কয়েক ব্লকের শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাসের বন্দুকধারীদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছিল।

   

বিয়ে করার জন্য ২ সপ্তাহের মুক্তি পেলেন হত্যা মামলার আসামি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হত্যা মামলার এক আসামিকে বাগদান ও বিয়ে করার জন্য দুই সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

রোববার ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করে জানায়, এর আগেও ওই ব্যক্তি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যথাসময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

তার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে দিল্লি হাইকোর্ট যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাহুল দেবকে দুই সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিচারপতি অমিত শর্মা বলেন, তার সামগ্রিক কাজ এবং এর আগে তিনি প্যারোলে মুক্তির পর সময়মতো আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। সে কারণে বিয়ে করার জন্য তাকে দুই সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হলো।

রাহুল দেব চার সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি চাইলে উচ্চ আদালত তাকে দুই সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি দিতে রাজি হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল আর্য সমাজ মন্দিরে রাহুল দেবের বিয়ে হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে হাইকোর্ট রাহুল দেবকে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল এবং ৬ মার্চ তিনি যথাসময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৪ সালে হত্যা মামলায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও আলামত নষ্টের জন্য আদালত রাহুল দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ১৪ বছর ৬ মাস ২৫ দিন ধরে মানডোলি জেলে বন্দি রয়েছেন। প্যারোল শেষে রাহুল দেবকে যথাসময়ে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

;

উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোয় থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোয় থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা পদত্যাগ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রোববার (২৮ এপ্রিল) এতথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রিসভায় রদবদলে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দেশটির সরকারি রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত মন্ত্রিসভার তালিকায় দেখা যায়, পার্নপ্রি কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি।

থাই সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের রাজা। মন্ত্রিসভায় রদবদল এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারাকে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

;

ইরাকে নতুন আইন, সমকামী সম্পর্কে জড়ালে ১৫ বছরের জেল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমকামীতাকে 'অপরাধ' হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এমন অপরাধের শাস্তি হিসেবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে এই আইনে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এদিকে ইরাকের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

গতকাল শনিবার (২৮ এপ্রিল) পাস হওয়া আইনটির একটি অনুলিপি রয়টার্সের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, নৈতিক অবক্ষয় ও বিশ্বগ্রাসী সমকামিতার আহ্বানের হাত থেকে ইরাকি সমাজকে রক্ষা করা এ আইন পাসের উদ্দেশ্য।

এই আইনটি দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় পাস হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, যৌনবৃত্তি ও সমলিঙ্গের সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন কর্মকাণ্ডে জড়ালে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি যৌনবৃত্তি ও সমকামিতা প্রচারের জন্যও কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে অবশ্য এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র নিন্দার কারণে সেই আইন সংশোধন করে এখন ১৫ বছরের শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এলজিবিটিকিউ রাইটস প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশা ইউনেস বলেছেন, ইরাকের পার্লামেন্টে এ আইন এলজিবিটিকিউ জনগণের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং এতে মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুন্ন হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এই আইন পাস করা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি।

এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই সংশোধনীকে বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক উল্লেখ করে এক্সে লিখেছেন, ‘যিনি যেভাবে থাকতে চান, তাকে সেভাবে থাকতে দেওয়া উচিত। তাকে কারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত নয়।’

ইরাকের আইন প্রণেতা রায়েদ আল-মালিকি এএফপিকে বলেছেন, 'এই ধরনের কাজ থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য এ আইনটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করবে।'

বর্তমান বিশ্বে ৬০টির বেশি দেশে সমকামিতাকে আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানিয়েছে আওয়ার ওয়ার্ল্ড। সংগঠনটির হিসাবে, ১৩০টির বেশি দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বৈধ।

;

২ ইউক্রেনীয়কে হত্যার অভিযোগে জার্মানিতে রুশ নাগরিক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানিতে দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যার অভিযোগে একজন রাশিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক জার্মান শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতের পর মারা যাওয়া দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যার ঘটনায় ৫৭ বছর বয়সী একজন রাশিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আপার বাভারিয়া সাউথ পুলিশ শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাভারিয়ার মুরনাউ শহরের টেঙ্গেলম্যান সেন্টারের কাছে ৩৬ বছর বয়সী একজন ইউক্রেনীয় ব্যক্তি ছুরিকাঘাতের কারণে মারা গেছেন। দ্বিতীয় ইউক্রেনীয় ব্যক্তির বয়স ২৩ বছর। একই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চিকিৎসারত অবস্থায় একটি হাসপাতালে মারা যান।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে গ্রেফতার করা হয় তবে কিসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

;