গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের লাগামহীন বোমা হামলায় মোট ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন শিশু রয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা তারা পর্যালোচনা করছেন। কারণ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছালে রাফাহ-তে পরিকল্পিত আক্রমণ ‘স্থগিত’ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। 

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করার ঘটনা উপেক্ষা করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।



   

রেকর্ড ৫.১ বিলিয়ন ডলার মুনাফা এমিরেটসের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুবাইভিত্তিক এমিরেটস গ্রুপ ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করেছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭১ শতাংশ বেশি মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। এই সময়কালে গ্রুপের রাজস্ব আদায়ের পরিমান ছিল ৩৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।

এমিরেটস এয়ারলাইন, ডানাটা ও অন্যান্য সাবসিডিয়ারির সমন্বয়ে গঠিত এমিরেটস গ্রুপ আজ সোমবার (১৩ মে) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ সমাপ্ত অর্থবছরে গ্রুপটি মুনাফা, রাজস্ব ও নগদ ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বিগত দুই বছরে গ্রুপটি যে পরিমাণ মুনাফা করতে সমর্থ হয়েছে, তা ২০২০-২২ এ করোনা অতিমারির কারণে ক্ষতির পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।

এমিরেটস এয়ারলাইন ও গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম বলেন, পুরো বছরজুড়ে সারা বিশ্বে আকাশ পরিবহণ এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত সেবায় উচ্চ চাহিদা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের এই অভূতপূর্ব ফলাফলের মূল কারণ হলো যে, আমরা দ্রুততার সাথে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। বিগত বছরগুলোতে প্রোডাক্ট ও সেবায়, কার্যকর পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে এবং আমাদের প্রতিভাবান এমপ্লয়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে যে বিনিয়োগ করেছি, তার ফসল এখন আমরা তুলছি।

এমিরেটসের পারফরম্যান্স

২০২৩-২৪ সালে এমিরেটসের যাত্রী ও কার্গো ক্ষমতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৭.৭ বিলিয়ন এটিকেএম এ দাঁড়িয়েছে, যা করোনা পূর্ববর্তী সময়ের কাছাকাছি। এসময় এয়ারলাইনটি ৫১.৯ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। প্যাসেঞ্জার সিট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গত বছর এমিরেটসের রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ সময় এয়ারলাইনটি ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করে নতুন এক রেকর্ড স্থাপন করেছে। এসময় এমিরেটসের প্রফিট মার্জিন ছিল ১৪.২ শতাংশ যা এয়ারলাইন ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে এয়ারলাইনটির নগদ সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১.৭ বিলিয়ন ডলার।

এমিরেটসের মালামাল পরিবহণ শাখা ‘স্কাইকার্গো’ গত বছর ২.২ মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এসময় স্কাইকার্গোর রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৩.৭ বিলিয়ন ডলার, যা এয়ারলাইনের মোট রাজস্ব আয়ের ১১ শতাংশ।

ডানাটা পারফরম্যান্স

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডানাটা’র মুনাফা ৩৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এসময়, প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আদায় ছিল রেকর্ড ৫.২ বিলিয়ন ডলার।

গত ৩১ মার্চ এমিরেটস গ্রুপের মোট এমপ্লয়ীর সংখ্যা ছিল ১১২,৪০৬ যা গ্রুপটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এমিরেটস এয়ারলাইন ও ডানাটা সারাবিশ্বে তাদের রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

;

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদে ফিলিস্তিনকে সমর্থন উত্তর কোরিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে উত্তর কোরিয়া। বিবৃতিতে ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান নীতি’র গুরুত্ব দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক ইহুদি রাষ্ট্র নীতি’র নিন্দা করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম আনাদেলু এজেন্সি এ সংবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ফিলিস্তিন বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়াও জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের আবেদন পুনর্বিবেচনার ও আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয় “উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছে এবং এটিকে সময়োপযোগী বলে মনে করে।”

ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রস্তাবটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

একই সাথে গত ১৮ এপ্রিল ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে একটি প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওয়াশিংটনের ভেটোর সমালোচনা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে উত্তর কোরিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

;

যৌন হয়রানির ভয়ে নারী সৈন্যের সংকটে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্স (এসডিএফ) বা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আরও অনেক নারী সদস্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সেনাদলে নারীদের যোগদানে উৎসাহিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে দেশটি। বহুদিন ধরেই জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারী সেনাদের যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। হয়রানির মামলার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় নারীরা এ পেশা আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২০২৩ সালের মার্চের সর্বশেষ নিয়োগে আবেদনকারী নারীদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ কম ছিল। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এসডিএফে চলমান যৌন হয়রানির সংস্কৃতিই নারীদের সেনাবাহিনীতে আসা থেকে বিরত রাখে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ হয়রানি সংক্রান্ত একটি বার্ষিক অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের সামরিক বাহিনীতে প্রয়োজনীয় নারীদের পদসংখ্যা পূরণ করার লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকরা নিয়োগ প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ৯ মাস পরেও তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের একটি স্বাধীন প্যানেলের জারি করা মূল সুপারিশমালার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।

টোকিওর প্রধান নিরাপত্তা মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ শতাংশের তুলনায় জাপানে সামরিক বাহিনীর মাত্র ৯ শতাংশ নারী। তাই চীন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে জাপান। এরই প্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধির আহ্বান আসে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত দুই কর্মকর্তা বলেন, হয়রানি বিরোধী প্রশিক্ষণের মান পর্যালোচনা করার জন্য একটি জাতীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

সরকার-নিযুক্ত প্যানেলের গত আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে চিহ্নিত করেছে যে, সামরিক বাহিনীর উপরিভাগের হয়রানিমূলক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট  প্রশিক্ষণের কেন্দ্রীভূত তত্ত্বাবধানের অভাব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সমস্যার কারণ হিসেবে অবদান রাখছে।

প্যানেলের প্রধান মাকোতো তাদাকি বলেন, কিছু প্রশিক্ষণ সেশন অকার্যকর ছিল। কথিত যৌন হয়রানির ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করছেন এমন একজন চাকরিজীবীও একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে, গত ১০ বছরে তিনি যে শিক্ষা পেয়েছেন তা অকার্যকর ছিল।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় বলছে, তারা ২০২৩ সাল থেকে হয়রানি প্রতিরোধমূলক বক্তৃতা আয়োজন করছে তারা।, এখানে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আলোচনা-ভিত্তিক সেশন করানো হয় এবং এই বছরেও প্রশিক্ষণ পর্যালোচনা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে এসব প্রশিক্ষণ প্যানেলের সুপারিশকে বাস্তবায়ন করতে উপযোগী কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি মন্ত্রণালয়।

সাবেক সৈনিক রিনা গনোই ২০২২ সালে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে জনসমক্ষে যাওয়ার পরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেই বছরই একটি সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষাটি তখন এসডিএফে ঘটা ১৭০ টিরও বেশি যৌন হয়রানির ঘটনার বিষয়ে সত্যতা উন্মোচন করে।

২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির পর আশ্রয়কেন্দ্রে মিজ গোনোইয়ের পরিবারকে সাহায্য করেছিল এসডিএফ। ২৩ বছরের মিজ গোনোইয়ের পরিবার জাপানের মিয়াগি প্রিফেকচারের হিগাশি-মাটশুশিমা এলাকার বাসিন্দা যেটি ঐ দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এসডিএফের ঐ ত্রাণ দলে নারী সৈনিকরাও ছিল। তাদের দেখে এসিডএফ-এর স্থল বাহিনীতে যোগ দেয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্বপ্ন পূরণ করে সেনাবাহিনীতে যোগও দেন তিনি। কিন্তু তার  স্বপ্ন ভেঙে যায় যখন প্রশিক্ষণ শেষে নিজের ইউনিটে যোগ দেওয়ার পর তিনি ‘প্রায় নিত্যদিন’ যৌন হয়রানির শিকার হতে শুরু করেন।

কিন্তু যখন মিজ গোনই সেনাবাহিনীতে তার দুঃসহ অভিজ্ঞতা জনসমক্ষে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন, তার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনরা তাকে নিষেধ করেন। জাপানের পুরুষ নিয়ন্ত্রিত সমাজে যৌন নির্যাতনের শিকার নারীরাই এমন চাপে পড়েন যে লজ্জায় তাদের মুখে তালা দিয়ে থাকতে হয়। যারা সাহস করে মুখ খোলেন তাদের ওপর সমাজ, এমনকি পরিবার থেকেও, প্রচণ্ড চাপ আসে। 

মিজ গোনোইও জানতেন তার কাজ সহজ হবেনা কারণ তিনি জাপানের সামরিক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লাগছেন। প্রথমে তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা ইউটিউবে প্রকাশ করলেন এবং প্রায় সাথে সাথেই সেই কাহিনি জাপানের সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেলে।

মিজ গোনোই জানান, ইউটিউবে পোস্ট করার পর অনেক নারী এবং পুরুষ তাদের যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তার সাথে শেয়ার করতে শুরু করেন। তার মধ্যে সেনাবাহিনীর ভেতরের অনেক কাহিনিও ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যাতে অভিযোগ তদন্ত করে তার জন্য তিনি এক লাখ মানুষের সই জোগাড় করলেন।কিন্তু তার বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়াতে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও শুরু হয়।

মিজ গোনোইয়ের ঘটনা মানুষের এতটাই নজর কাড়ে যে সেনাবাহিনী একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে বাধ্য হয়। গত ডিসেম্বরে, পাঁচজন সৈনিককে বরখাস্ত করা হয় এবং ঐ ইউনিটের কম্যান্ডারকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এক তদন্তে দেখা যায় যৌন হেনস্থার একশরও বেশি নালিশ চাপা পড়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয় মিজ গোনোইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয়।

মিজ গোনোইয়ের আগে জাপানে ২০১৯ সালে যৌন সহিংসতার আরেকটি ঘটনা এতটা গুরুত্ব পেয়েছিল যখন জাপানের নারী সাংবাদিক শিওরি ইতো আরেক নামকরা এক রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। সেবছরই সেদেশে ‘ফুল নিয়ে বিক্ষোভ’ (ফ্লাওয়ার ডেমো) আন্দোলন শুরু হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রতিমাসের ১১ তারিখ যৌন সহিংসতার শিকার মানুষজন এবং তাদের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। তারা এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচারের দুর্বলতার প্রতিবাদ করেন, যৌন নির্যাতন আইন কঠোর করার দাবি জানান।

টোকিওর কেন্দ্রে ঐ সমাবেশ ছিল আকারে ছোট কিন্তু চোখ কাড়ার মতো। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন, একটিতে লেখা ছিল- যৌন অপরাধ অমার্জনীয়, আরেকটি প্ল্যাকার্ডে ইংরেজিতে লেখা ছিল সম্মতিই সবকিছু। চুপ করে থাকার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিমাসের একটি দিনে এই সমাবেশ প্রতিবাদের একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

;

নতুন সরকার অনুমোদন করেছে কুয়েত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার দু’দিন পর কুয়েতের আমির রোববার (১২ মে) নতুন মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন।  এরই মধ্যে আমির এবং নতুন সরকার পরিষদের কিছু ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। 

বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনপ্রণেতাদের ‘হস্তক্ষেপের’ কথা উল্লেখ করে শুক্রবার শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-সাবাহ কুয়েতের নির্বাচিত সবচেয়ে শক্তিশালী পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন এবং তিনি সংবিধানের কিছু ধারা স্থগিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আল-আব্দুল্লাহ আল-সাবাহ’র নেতৃত্বে ১৩ জন মন্ত্রী নিয়ে কুয়েতের নতুন সরকার গঠন করা হয়। মন্ত্রীদের মধ্যে মধ্যে দু’জন নারী রয়েছেন।

নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর সাবেক তেলমন্ত্রীকে গত মাসে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল-সালেম আল-সাবাহ সরকার এবং ৫০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আবারো পদটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

;