পুতিনের বক্তব্যের নিন্দা জানালো যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির সতর্কতাকে যুক্তরাষ্ট্র ‘কান্ডজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে ওই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটন বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে যে এমন কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য এই প্রথমবার শুনছি, তা কিন্তু নয়। তিনি এর আগেও এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তবে পরমাণু ক্ষমতাধর কোনও দেশের নেতার পক্ষে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মানায় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিণতি সম্পর্কে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এবং সরাসরি যোগাযোগ করেছি।’
তবে মিলার বলেন, ‘রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনও লক্ষণ বা তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
উল্লেখ্য, জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বৃহস্পতিবার পুতিন পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনও দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে সেখানে সেনা পাঠালে তাদের ‘করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের (পশ্চিমা দেশ) শেষ পর্যন্ত এটা মাথায় রাখা উচিত যে আমাদের এমন সব সমরাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো তাদের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। পশ্চিমাদের সব পদক্ষেপই এমন সংঘাতের প্রকৃত ঝুঁকি সৃষ্টি করে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে। আর এভাবে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়াকে এখন তার পশ্চিম সীমান্তে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে। এমন সময় তিনি এ ঘোষণা দিলেন যখন সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে।
পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনের সংঘাতকে উসকানি দিয়েছে এবং মিথ্যা বলে চলেছে যে, রাশিয়া ইউরোপে আক্রমণ করতে চায়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন পুতিন।
আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে পুতিনের কোনো প্রকৃত বিরোধী নেই। ফলে নির্বাচনের ফল কী হবে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। নির্বাচনের আগে চলতি বছরের শুরু থেকে গণমাধ্যমে পুতিনের উপস্থিতিও বেড়েছে। সম্প্রতি একটি বোমারু বিমানে চড়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।