পুত্রবধূ পছন্দ না হওয়ায়, ম্যাক্সিকান বরপক্ষের সীমাহীন ষড়যন্ত্র

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নববধূর বিয়ের কাপড়ে লাল রঙ ছুঁড়ে মারলেন শাশুড়ি

নববধূর বিয়ের কাপড়ে লাল রঙ ছুঁড়ে মারলেন শাশুড়ি

পুত্রবধূ পছন্দ না হওয়ায় নববধূর কাপড়ে লাল রঙ ছুঁড়ে মারলেন শাশুড়ি।  চুরি করলেন ছেলের পাসপোর্ট। এমনকি বিয়ের সিদ্ধান্ত শুনে হার্ট অ্যাটাকের নাটকও বাদ যায়নি। বিয়ের বিশেষ দিনটিকে নষ্ট করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় বরের পরিবার। ঘটনাটিকে মেক্সিকোর সোনোরায় ঘটেছে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে এই দম্পতির বিয়ের ঘটনা নিয়ে বিশদ বর্ণনা করের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।   

প্রতিবেদনে বলা হয়- অ্যালেকজান্দ্রার প্রেমিকের পরিবার বেশ সম্ভ্রান্ত হওয়ায়, তারা চাইতেন তাদের পরিবারের ছেলে ধনী কোনো মেয়েকে বিয়ে করুক। তারা ভাবতেন, অ্যালেকজান্দ্রা টাকার জন্য তাদের ছেলের সাথে রয়েছেন। তবে, ছেলের সিদ্ধান্ত ছিল ভিন্ন। তিনি অ্যালেকজান্দ্রাকে ভালোবাসতেন এবং তাকেই বিয়ে করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালেই তারা নানারকম ভাবে বিরোধিতা করতে থাকে। তারা অ্যালেকজান্দ্রাকে ‘গোল্ড ডিগার‘ আখ্যায়িত করে। তার শশুরবাড়ির পরিবার তাকে একটি খালি চ্যেক দেয়। তারা বলেন, যতটা টাকার প্রয়োজন যেন সে নিয়ে নেন। তবু তাদের ছেলের সাথে সম্পর্ক যেন ছিন্ন করে। এইসব দোষারোপ অ্যালেকজান্দ্রা গায়ে মাখেননি। তিনি সম্পর্ক অক্ষত রাখেন এবং আংটি বদলের সিদ্ধান্ত নেন।

বাগদানের ঘোষণার পর বরের পরিবার আরও বিচলিত হয়ে পড়ে। অ্যালেকজান্দ্রার হবু শাশুড়ি মাউপে এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক করেন। এইজন্য ছেলে এবং ছেলের বাগদত্তাকে দায়ী করতে থাকেন তিনি। পরে জানা যায়, তার আসলে বিশেষ কিছু হয়নি। তিনি অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর, বিয়ের কথা শুনে অ্যালেকজান্দ্রার প্রতি তাদের আক্রোশ আরও বেড়ে যায়। নবদম্পতি ১৮  ফেব্রুয়ারির দিন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন বরের পক্ষ বিয়েতে উপস্থিত থাকতে অস্বীকার করে। শেষমেশ অবশ্য তারা আসেন, কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ঘটান।

বাবার হাত ধরে বধূসাজে গির্জায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যালেকজান্দ্রা। সেই সময় তার সাদা পোশাকে লাল রঙ ছুঁড়ে মারেন মাউপে। অতিথিরা প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো রক্ত, পরে আসল কাহিনী বুঝতে পেরে সকলে অবাক হয়ে যান। এরপর পোশাক পরিবর্তন করে বিয়ে সাড়েন কনে।   

এমনকি তাদের মধুচন্দ্রিমা বিগড়ে দেওয়ার চেষ্টাও চলেছিল। নববরের পাসপোর্ট-ভিসা লুকিয়ে রেখেছিল তার পরিবার। শুধু তাই নয়, হানিমুন এজেন্সিকে টাকা খায়িয়ে ভ্রমণ বাতিল করার চেষ্টাও করা হয়। যদিও সকল পরিকল্পনা বাঞ্চাল হয় এবয় নবদম্পতি বিয়ের পর সুন্দর কিছু সময় কাটিয়ে ফেরেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার সম্পূর্ণ প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। বরের পরিবারের এসব কাণ্ড দেখে সকলে রীতিমতো অবাক!