গাজায় মানবাধিকার কর্মী হত্যার তদন্ত চায় জাতিসংঘ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক এক নারী মানবাধিকার কর্মী আইসেনুর এজগি এইগিকে গুলি করে হত্যার পূর্ণ তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার গাজা উপত্যকার নাবলুসে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের প্রতিবাদস্বরূপ আন্তর্জাতিক সংহতি জানাতে সেখানে ২৬ বছর বয়েসি আইসেনুর এজগি এইগি একটি জলপাই গাছের নিচে অবস্থান করছিলেন। সে সময় একটি বাড়ির ছাদ থেকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করলে তিনি নিহত হন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে তুরস্ক এ ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস এ খবর জানায়।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে শুক্রবার পশ্চিম গাজার নাবলুসের কাছে বেইতা শহরে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার সময় তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক আইসেনুর এজগি এইগিকে লক্ষ করে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করলে তিনি নিহত হন।

জাতিসংঘ এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত চায়। এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নাবলুসে একজন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি দুরাজিক বলেছেন, আমরা এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত চাই এবং এ ঘটনার জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। তিনি বলেন, সাধারণ নাগরিকদের সবসময় নিরাপদ রাখতে হবে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও এ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করাসহ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

বেইতিতে প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক সংহতি জানাতে অংশ নিয়েছিলেন ইসরায়েলের ইহুদি নাগরিক জোনাথন পোল্লাক। তিনি ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

জোনাথন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ আওয়ার প্রোগ্রামে বলেন, একটি বাড়ির ছাদ থেকে লক্ষ করে গুলি করা হয়েছে। 

তিনি জানান, তিনি দুটি গুলির শব্দ শুনেছেন। জোনাথন বলেন, আমার নাম ধরে চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমাদের বাঁচান। আমাদের বাঁচান। এরপর আমি দৌঁড়ে তাদের কাছে যাই। গিয়ে দেখি আইসেনুর এজগি এইগি একটি জলপাই গাছের নিচে পড়ে আছেন। তার মাথা থেকে অনবরত রক্ত বের হচ্ছে। আমি তার ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে চেষ্টা করি যেন রক্ত বের না হয়। এরপর তার হাতের পালস দেখি। দেখি, তার হাতের পালসের গতি ছিল খুব ধীর। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

আইসেনুর এজগি এইগি তুরস্কের আনতালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সম্প্রতি তিনি সিয়াটলের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।