নারীর যৌনাঙ্গ কাটা রোধে ২৭ গুণ অগ্রগতি হওয়া দরকার: জাতিসংঘ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের নতুন তথ্য অনুসারে, গত আট বছরে যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে এমন মেয়ে ও নারীদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে ২৩০ মিলিয়নেরও বেশি মেয়ে এবং নারী আছেন যাদের যৌনাঙ্গ ছেদন করা হয়েছে। ২০১৬ সালেও এ সংখ্যা ছিল ২০০মিলিয়ন। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, বর্তমানে কম বয়সেই মেয়েদের যৌনাঙ্গ কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে যা উদ্বেগজনক। .

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নারীদের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনা শরীরের ক্ষতি করে, তাদের ভবিষ্যতকে ম্লান করে দেয় এবং তাদের জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। মেয়েরা তাদের পঞ্চম জন্মদিনের আগে অল্প বয়সেেই এ ঘটনার শিকার হয়। এই ক্ষতিকর প্রথা বন্ধ করার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।’

ইউনিসেফ বলেছে, ২০৩০ সালের জাতিসংঘের  লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য এখনকার তুলনায় আরও ২৭ গুণ দ্রুত অগ্রগতি ঘটাতে হবে। যৌনাঙ্গ কাটা বিশ্বব্যাপী আরও সাধারণ ঘটনা যেন না হয়ে উঠে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যান্য দেশে এ ঘটনা বেশি ছড়াচ্ছেনা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যৌনাঙ্গ কাটা অনুশীলনকারী দেশগুলোতেই আরও বেশি মেয়ের জন্ম হচ্ছে বলে এর হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

নারীদের যৌনাঙ্গের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ প্রথা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ২০১২ সালে জাতিসংঘ যৌনাঙ্গ কাটাকে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করে।

সোমালিয়া, গিনি, জিবুতি, মিশর, সুদান এবং মালিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। ইউনিসেফ বলেছে যে তারা অন্যান্য জরুরী সমস্যা যেমন দ্বন্দ্ব, জলবায়ু সংকট এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো সমস্যা মেয়েদের অধিকারকে সমর্থন করাকে কঠিন করে তোলে।

গাম্বিয়ায় যৌনাঙ্গ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য একটি বিল এই সপ্তাহে পার্লামেন্টে পেশ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই দেশটির জনগণ অধিকার, ধর্ম এবং সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে। অন্যদিকে সিয়েরা লিওনে চলতি বছরের শুরুর দিকে যৌনাঙ্গ কাটার সময়ে তিন মেয়ের মৃত্যু হয়।