গাজায় সমুদ্রপথে ত্রাণ যাবে আগামী সপ্তাহে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন

ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন

সমুদ্রপথে আগামী সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এ কার্যক্রমের জন্য সমুদ্রপথে একটি করিডর চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (৮ মার্চ) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। 

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ শুক্রবার সাইপ্রাসে এক বক্তৃতায় ইসি প্রধান এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, গাজা একটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত শিশুরা অপুষ্টি ও অনাহারে মারা যাচ্ছে। তাই সেখানে ত্রাণ সহায়তার জন্য সমুদ্রপথে একটি করিডর চালু করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে গাজায় সমুদপথে ত্রাণ পাঠানো হবে।

বিজ্ঞাপন

এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা করা যাবে বলেও জানান তিনি।

উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি দাতব্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এই করিডর দিয়ে গাজায় ত্রাণ যাবে। তবে এভাবে ত্রাণ পাঠানোটা কঠিন। এ জন্য স্থলপথে ত্রাণ পাঠাতে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলবে।

এর আগে ত্রাণ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গাজায় একটি অস্থায়ী বন্দর স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছিল।

এদিকে, ইসি প্রধানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য দেশকে এতই ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।

ইসরায়েল-ফিলিস্তনি যুদ্ধের প্রভাবে গাজার এক-চতুর্থাংশ নাগরিক দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। শুধু তাই নয় সেখানকার অনেক শিশুই অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে বলে জানায় জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ জন সেনা সদস্য ও নাগরিক নিহত হয়েছেন।