২০২৭ সালে সমুদ্রে যাত্রা করবে টাইটানিক-২

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের প্রতিরূপ ‘টাইটানিক-২’ তৈরির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের ক্লাইভ পালমার।

সিএনএন জানিয়েছে, পালমার প্রথমে ২০১২ সালে এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তার এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সিডনি অপেরা হাউসে বুধবার (১৩ মার্চ) একটি ইভেন্টের সময় জাহাজেটির প্রতিরূপ তৈরির জন্য তার ওই প্রকল্পের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

পালমার বলেন, তার কোম্পানি ব্লু স্টার লাইন এখন প্রতিরূপ জাহাজ তৈরি করতে চায়, যেটি ২০২৭ সালের জুন মাসে সমুদ্রে যাত্রা করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, অপ্রত্যাশিত বিলম্বের পরে আমরা টাইটানিকের স্বপ্ন নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড লকডাউনগুলোর কারণে জাহাজ শিল্প দীর্ঘমেয়াদী বন্ধের মুখে পড়েছিল। তাই দীর্ঘ দিন এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা বন্ধ রেখেছিলাম। আমরা বিশ্বের সেরা জাহাজ নির্মাতা, ডিজাইনার এবং ইঞ্জিনিয়াররা টাইটানিক-২ তৈরির জন্য ডেকে ফিরে আসছি। এই জাহাজটি হবে আগের টাইটানিকের থেকে অনেক বেশি উন্নত।’

পালমার স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, ‘জাহাজটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জাহাজটির ৯টি ডেকে ৮৩৫টি কেবিনসহ ২,৩৪৫ জন যাত্রীর জন্য বোর্ডে জায়গা থাকবে। প্রায় অর্ধেক কক্ষ প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

বলরুম, সুইমিং পুলসহ জাহাজটির অভ্যন্তরীণ এবং কেবিনের বিন্যাস মূল জাহাজের মতোই থাকবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

পামার বলেন, ‘টাইটানিক-২ এমন কিছু, যা তৈরি করা দরকার। আমরা সবাই জানি কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়। আমরা সেনাবাহিনী এবং যুদ্ধের অর্থায়ন করি। জনগণ সে সম্পর্কে জানে। কিন্তু, শান্তি স্থাপন করা অনেক কঠিন। শান্তি স্থাপনের জন্য আপনাকে প্রতিদিন এর সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। আপনাকে ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগিয়ে যেতে হবে।’

উল্লেখ্য, দ্য আরএমএস টাইটানিক একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহী জাহাজ, যা এ পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজগুলোর মধ্যে একটি। জাহাজটি সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি পর্যন্ত প্রথম সমুদ্রযাত্রায় অংশ নিয়েছিল এবং এতে ২,২৪০ জন যাত্রী এবং ক্রু ছিল।

কিন্তু, ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল একটি বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে জাহাজটি তিন ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় ১,৫০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।