কুকুর পোষা সমাজতান্ত্রিক জীবনধারার বেমানান, নিষিদ্ধ হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে কুকুর পোষাকে নিষিদ্ধ করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। দেশটির সরকারের দাবি কুকুর পোষার বিষয়টি সমাজতান্ত্রিক জীবনধারার সঙ্গে বেমানান। তাই বাড়িতে কুকুর পোষা মানুষদের ‘অ-সমাজতান্ত্রিক আচরণ’ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।  

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া উত্তর কোরিয়ার সোশ্যালিস্ট উইমেনস ইউনিয়ন সংগঠনের বরাতে এই খবর জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম ডেইলি এনকে। 

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের সদস্যরা এটিকে সামাজিক সমস্যা হিসেব চিহ্নিত করে বলছেন, পোষা কুকুরের সাথে একসাথে খাওয়া, ঘুমানো এবং পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা সমাজতান্ত্রিক জীবনধারার সাথে বেমানান। এর বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও জানান তারা।

সংগঠনটি বলছে, কুকুরকে মানুষের মতো সাজানো, তাদের চুলে সুন্দর ফিতা লাগানো, একসাথে কম্বলে জড়িয়ে রাখা এবং মারা গেলে তাদের কবর দেওয়ার অভ্যাসটি বুর্জোয়া কার্যকলাপকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি পুঁজিবাদী সমাজে ধনী ব্যক্তিদের অর্থ অপচয় করার অন্যতম উপায়।

বিজ্ঞাপন

কুকুর হলো মূলত একটি মাংস, যা প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠে এবং মারা গেলে এদের খাওয়া হয়। তাই কুকুরকে বাড়িতে রেখে পোষা সম্পূর্ণ অ-সমাজতান্ত্রিক আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এই কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নির্মূল করা উচিত বলেও জানায় সংগঠনটি।চ

সংগঠনটির এমন ঘোষণার পর ওই সংগঠনেরই এক সদস্য কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কারণ তিনিও বাসায় কুকুর পোষেন। তিনি বলেন, আমি যে কুকুরটিকে খুব ভালবাসি তার সাথে আমার কী করা উচিত? আমি এটাকে ছাড়তেও পারি না আবার মেরে ফেলতেও পারি না।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় কুকুর পোষার প্রচলন শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। সেই সময় সরকার এটিকে সমস্যা বলে মনে করেনি। কারণ তখন দেশটির বেশিরভাগ কর্মকর্তাই তাদের বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য প্রহরী হিসেবে কুকুর রাখতেন।