রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করলেন নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য জিম্মি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য কাতারে আরেকটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির আশা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাফাহতে হামলা পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি ছিন্নভিন্ন ফিলিস্তিনি ছিটমহলের দক্ষিণ প্রান্তের শহরটিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছেন, যেখানে পাঁচ মাস যুদ্ধের পরে গাজার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মিত্র এবং সমালোচকরা নেতানিয়াহুকে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের আশঙ্কায় রাফাহ হামলা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েল বলেছে, ’রাফাহ হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি এবং হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।’

ইসরায়েল আরও বলেছে, ‘হামলার আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।’

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা দেখেনি, তবে সেটি দেখতে চায় ওয়াশিংটন।’

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের জন্য হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হতে পারতো ইসরায়েল।’

প্রসঙ্গত, মধ্যস্থতাকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছে হামাস, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস যাদের মুক্তি চেয়েছে তাদের মধ্যে ১০০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

রাফাহ হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের দাবি অবাস্তব ছিল। তবে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার পরে দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে তেল আবিব।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ শহরের লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তবে, রাফাহ হামলার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানায়নি ইসরায়েল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অস্ট্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাফাহতে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সুস্পষ্ট এবং বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা দেখতে হবে ইসরায়েলকে। ওই পরিকল্পনার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার বিষয়টি থাকতে হবে।

অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া মুসলিম পবিত্র রমজান মাসের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।

ওয়াশিংটন এবং আরব মধ্যস্থতাকারীরা এখনও রাফাহ আক্রমণ বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে এবং খাদ্য সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর।

নেতানিয়াহুকে গণহত্যার রাফাহতে হামলার মাধ্যমে আরও অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নন।’

ইসরায়েল জুহরির গণহত্যার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা সম্পূর্ণরূপে হামাস যোদ্ধাদের ধ্বংস করার দিকে মনোনিবেশ করেছে।

মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বৃহস্পতিবার ইসরায়েলিদের প্রতি নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চাক শুমার বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর কঠোর নীতি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে ধ্বংস করছে।’

   

আফগানিস্তানে শিয়া মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে অজানা বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন। তবে এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেননি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলার আন্দিশা এলাকার ইমাম জামান মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা ও আফগানিস্তানভিত্তিক আমু টিভি এ খবর জানায়।

আলজাজিরা ও আমুটিভি জানিয়েছে, সোমবার রাত নয়টার দিকে শিয়া মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় অজানা বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন।

কাবুলের ইরানের দূতাবাস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয়, আইএস (ইসলামিক স্টেট) এ হামলার জন্য দায়ী। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর অনেকবারই আইএস (ইসলামিক স্টেট) শিয়াদের মসজিদে হামলা করেছে। তালেবান সরকার যদিও বলে এসেছে, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা একটা চোখে পড়েনি বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।

;

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আশা করা হচ্ছে, আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন বরেল। 

সম্মেলনের অবসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।

গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।

এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণার শামিল।

;

ইসরায়েল মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও সামরিক সমর্থন পাবে: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সেনাদের ৫টি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ঘটেছে গাজায় চলমান যুদ্ধের আগে গাজা ভূখণ্ডের বাইরে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও মার্কিন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই সমস্ত ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল।

ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে বলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে। এর অর্থ হচ্ছে- সমস্ত ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতি বছর ইসরাইলকে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

তবে বিবিসি বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যে কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এই ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে।

তিনি বলেছেন, এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে, যা আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে আশা করি। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি; তারা সেই ইউনিটের সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।



;

ট্রুডোর অনুষ্ঠানে খালিস্তানপন্থি স্লোগান, ভারতের সমন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-কানাডার বিদ্যমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনে আবার উত্তেজনা বেড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উপস্থিত হয়েছেন এমন একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) নয়া দিল্লিতে অবস্থিত কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে এ ঘটনায় সমন পাঠায় ক্ষুব্ধ ভারত।

কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বড় রকম প্রভাব পড়বে এবং সহিংসতার পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, কোনো অনুষ্ঠানে চেক না করে এমন কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়ার বিরুদ্ধে ভারত সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শক্ত প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ  ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল যে, কানাডা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী, উগ্রপন্থি এবং সহিংসতাকে রাজনৈতিক স্পেস দিচ্ছে । অব্যাহত এ ঘটনা শুধু কানাডা-ভারতের সম্পর্কের ওপরই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, একই সঙ্গে কানাডায় সহিংসতা এবং অপরাধের একটি পরিবেশ সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে। 

উল্লেখ্য, কানাডা ভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘খালসা দিবস’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন ট্রুডো। সে সময় বেশ জোরে স্লোগান দেয়া হচ্ছে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিত সিং এবং টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ। ওই শহরে বার্ষিক অনুষ্ঠান  হিসেবে এতে রোববার যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। 

এনডিটিভি বলেছে, এতে ভাষণে ট্রুডো কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার করেন। ঘৃণা ও অবমাননা থেকে তাদেরকে রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, এর আগে শিখ নেতা নিজারকে হত্যার জন্য জন্য তিনি সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন। কিন্তু ভারত  সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তাদের এ অভিযোগকে উদ্ভট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে ভারত। অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে ভারতের অভিযোগ।

;