আমি হারলে রক্তগঙ্গা বইবে, ভেঙে যাবে গণতন্ত্র: ট্রাম্প

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও মুখোমুখি হবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন’ বলে অভিহিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমি হারলে রক্তগঙ্গা বইবে। ভেঙে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র।’ 

ওহাইও অঙ্গরাজ্যে শনিবার (১৬ মার্চ) একটি নির্বাচনি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পের ঝুঁকি নিয়ে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ বক্তব্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, সেটি পরিষ্কার নয়। 

বিজ্ঞাপন

আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত করার কয়েক দিন পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন।

তিনি বলেন, ‘৫ নভেম্বরের তারিখটি মনে রাখুন। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হতে চলেছে।’ এ সময় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে নিয়ে তার প্রায় সময়ই উল্লেখ করা সমালোচনামূলক এক মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তিনি (বাইডেন) সবচেয়ে ‘মন্দ’ প্রেসিডেন্ট।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্পের বেফাঁস মন্তব্যের পর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানান, জো বাইডেনের নীতি আমেরিকায় অর্থনৈতিক দিক থেকে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প তাই বলতে চেয়েছেন।

তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বাইডেন। ট্রাম্পের এসব মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচার শিবির থেকে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতিহিংসাপরায়ণতা, হিংসার প্রতি আগ্রহ এবং চরমপন্থী আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করা হয়।

বাইডেনের মুখপাত্র একটি সভায় বলেন, ‘এটাই ট্রাম্পের আসল রূপ। তিনি ৭০ লাখের বেশি ভোটে হেরে যাওয়ার পর ভুল শুধরে নেওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক হিংসার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেন।’ তিনি রিপাবলিকান এ নেতাকে ২০২০ সালের নির্বাচনে একজন ‘পরাজিত ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সেই সময় রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে তিনি বেশ হুমকি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ট্রাম্প ও বাইডেন দুজনই চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রাথমিক বাছাইয়ে (প্রাইমারি ও ককাস) নিজ নিজ দলের যথেষ্ট সংখ্যক নিবন্ধিত ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। এ অবস্থায় এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে এ দুজনই চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন ও মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন বলে মনে করা হচ্ছে।