গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। এদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কায়রোতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ শেসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দোহাতে চুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রাখছি। তবে চুক্তিতে পৌঁছানো এখনও কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এটি সম্ভব।
তিনি বলেন, কাতারের দোহায় চলমান আলোচনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, চুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন, তবে আমি বিশ্বাস করি এটি সম্ভব। তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে আরও অনেক কিছু করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চুক্তির ফাঁকগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আমি শুধু বলতে পারি যে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার কাতারে যাবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি এই প্রস্তাব নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেও রাফায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল রাতে ইসরায়েলের হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৯৮৮ জন।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু অবিলম্বে শব্দটির জন্য আপত্তি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা এতে ভেটো দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচার করা নতুন সংস্করণে বলা হয়েছে, বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা ও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে তাৎক্ষণিক ও টেকসই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে ভোটাভুটির কোনো তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।