নিরাপত্তা প্রশ্নে ক্রেমলিন, কোনো দেশই সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত নয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোয় কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা ছিল কিনা, এমন প্রশ্নে ক্রেমলিন জানিয়েছে, কোনো দেশই সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত নয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একথা বলেন।

হামলায় আইএসের দায় স্বীকার নিয়ে এক প্রশ্নে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তদন্ত চলমান। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

রাশিয়ার রাজধানীতে এই ধরনের হামলার ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা ছিল কি না, এ জবাবের পেসকভ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত কোনো দেশই সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত নয়। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাশিয়াকে রক্ষা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মস্কোতে হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়াকে সতর্ক করেছিল। নীতিগতভাবে সতর্ক করার দায়িত্ব থেকে রুশ কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছিল।

রাশিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর পশ্চিমাদের সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখন কোনও সাহায্যের প্রশ্নই আসে না।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পেসকভ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, হামলার পর থেকে কথোপকথনে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন নিহত এবং ১৮২ জন আহতের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন কয়েকজনকে রোববার আদালতে হাজির করা হয়। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে দেখা যায়, সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজনের কানের কিছু অংশ কাটা। তার মুখে মুখোশ পরানো। আরেকজনের মুখ থেঁতলানো এবং অন্যজনকে হাসপাতালের পোশাকে দেখা গেছে।

সন্দেহভাজনদের মারধর করার প্রশ্নে পেসকভ বলেন, আমি এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে চাইছি না।

এদিকে, আটক চারজনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে’ জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। অভিযুক্তরা হলেন—দালেরদজন মিরজোয়েভ, সাইদাকরামি মুরোদালি রাচাবালিজোদা, সামসিদিন ফারিদুনি এবং মোহাম্মদসোবির ফায়জোভ। রোববার তাদের আদালতে তোলা হয়। ইতোমধ্যে দুজনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

   

ত্রিমুখী ঝুঁকির সম্মুখীন ইউরোপ: ম্যাক্রোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ইউরোপের অস্তিত্ব ত্রিমুখী হুমকির সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, এসব হুমকি মোকাবেলার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণার প্রয়োজন।

শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ এ কথা বলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এটি আমাদের ইউরোপের জন্য ত্রিবিধ অস্তিত্বের ঝুঁকি। একটি সামরিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং একটি আমাদের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি ও আমাদের গণতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার অস্তিত্বের ঝুঁকি।’ 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই তিনটি ঝুঁকি ত্বরান্বিত হয়েছে। খুব দৃঢ়ভাবে হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। অধিকন্তু, করোনা মহামারির পর আমরা এই উদ্বেগের বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করেছি। যদিও ইউরোপ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছিল, কিন্তু খুব ভীতু বা কখনও কখনও একটু দেরি করে।’

ম্যাক্রোঁর মতে, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ইউরোপের জন্য একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টান্ত প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট মনে করেন প্রথমত, ইউরোপকে অবশ্যই নিজের নিরাপত্তার যতœ নিতে হবে। বিশেষত জ্বালানি, উপকরণ এবং বিরল সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মূল দক্ষতা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও।’

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মতো উন্নত প্রযুক্তির বিকাশে কোম্পানিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা ভোগ করছে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, অবশেষে ইউরোপকে ‘সামাজিক নেটওয়র্ক এবং আমাদের সমাজের ডিজিটালাইজেশন এবং গণতন্ত্র যেভাবে কাজ করে তার সৃষ্ট দুর্বলতাগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।’

এই ঝুঁকি কি ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটাবে, নাকি এটি একটি আকস্মিক মৃত্যু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘বিষয়গুলো খুব দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। ইউরোপে এবং অন্য সব জায়গায় তারা ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে।’

;

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ২০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। 

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দিয়ামের কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওভারস্পিডিং বা বাঁক নেওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তি ও মরদেহ চিলাসের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।

দিয়ামেরের জেলা প্রশাসক ফাইয়াজ আহমেদ জিও নিউজকে বলেন, যে কমপক্ষে পাঁচজন আহত যাত্রীর অবস্থা গুরুতর এবং দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সেনা হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

;

তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ বিমান-৫ জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ টি বিমান ও পাঁচটি জাহাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-শাসিত দ্বীপের চারপাশে চীনের এই টহল শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলয়। 

শুক্রবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের অভিষেক হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এই অভিযান চালিয়েছে চীন। আগামী ২০ মে তাইওয়ানের রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিষেক করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রপন্থি এই নেতা। বেইজিং লাই কে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করে।
দ্বীপটির চারপাশে টহল দেওয়া এসব বিমানের অন্তত ১৭ টি বিমান তাইওয়ান প্রণালি সীমান্ত আদিজে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই প্রণালীটি তাইওয়ানকে চীন থেকে পৃথক করেছে। তাইওয়ান নিজেকে স্বার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করলেও তা নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি চীনের। এমন দাবিতে কয়েক বছরে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে চীনের বিমান বাহিনী। তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় উত্তেজনা চরমে ওঠে বেইজিং এবং তাইপের। জানুয়ারিতে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাই এবারের নির্বাচনে দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। 

 

;

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৩৪৬০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
আনাদোলু বলছে, আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

 

 

;